PDPBsubByShafinChowdhury.srt_pfbbd8jjYBUjCVLGDznu_1560273333 Metrics {time:ms;} Spec {MSFT:1.0;} <-- Open play menu, choose Captions and Subtiles, On if available --> <-- Open tools menu, Security, Show local captions when present -->

 

তারা বাইরে আছে।

 

আমরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কক্ষে বৈদ্যুতিক সংযোগ হারাচ্ছি!

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সা

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফ

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফি

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফিন

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফিন চ

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফিন চৌ

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফিন চৌধ

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফিন চৌধু

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফিন চৌধুরী

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফিন চৌধুরী
https://www.facebook.com/shafinisepic

 

আমার তৈরিকৃত এটি অষ্টম একক বাংলা সাবটাইটেল। সাবটাইটেলটি তৈরি করতে স্বল্প সহযোগীতা করেছেন তারেক মাহমুদ ভাই। সেজন্যে প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ❤
[আমার তৈরিকৃত অন্যান্য অনুবাদসমূহ পাবেন এখানে:
https://subscene.com/u/1192978
]

 

আপকামিং সাবটাইটেল সম্পর্কিত সকল নিত্যনতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে:
https://www.facebook.com/subhunters/

 

- ওটা শুনতে পেলে?
- কাছেই কিছু একটা আছে।

 

দেখেছো, এটার কথাই বলেছিলাম, আমার বুকটা এখন ধরফড় করছে...

 

ঝুঁকে পড়। ঝুঁকে পড়।

 

কিউবোন!

 

একটা কিউবোন?

 

আমরা আবার তোর জন্যে পোকেমন ধরতে যাচ্ছি না তো, তাইনা?

 

- কি?
- আমাকে বল যে তুই এসব আগে থেকেই পরিকল্পনা করিসনি, জ্যাক?

 

- আমি দুঃখি....তুই কি আসলেই এটা বলছিস?
- জ্যাক, বল তুই এসব আগে থেকেই জেনেশুনে করিস নি?

 

তোর সাহস কত বড়! ঠিক আছে...অবশ্যই না! আরে চল তো!

 

ঠিক আছে...হয়তো করেছি।

 

গতকাল রাতে পূর্ণিমা ছিলো, আর আমার মাও ইতোমধ্যেই এটাকে খুঁজে পেয়ে গেছিলো,

 

উনি আর কুলাতে পারছিলেন না.. দুঃস্বপ্ন দেখেছিলেন তো উনি...

 

আমাকে এক গ্লাস গরম দুধ এনে দেন।

 

ভাই, আমি ভাবলাম তুই পুরানো দিনের কথাগুলো মনে করে, সে মধুর স্মৃতিগুলো অনুভব করতে চাস...

 

-... যেমনটা আমরা ছোটোবেলায় করতাম।
- আমি তো চাই! কিন্তু ওটার দিকে তাকা একবার।

 

এটা তোর জন্যেই একদম নিখুঁত একটা পোকেমন।

 

জ্যাক, আমি পোকেমন খুঁজছি না। আমি তো তোকে আগেই বলেছি।

 

আমি এটা অনেক চিন্তাভাবনাই করেই করেছি , ঠিক আছে?

 

পানীয় ধরনের টা তোর জন্যে ঠিক না। এমনকি আগুনেরটাও না।

 

- কিন্তু কিউবোন হলো...
- নিঃসঙ্গ (একা)।

 

একদম তাই!

 

ঠিক আছে, ধন্যবাদ, জ্যাক। ধন্যবাদ এটার জন্যে।

 

আমাকে বোকা বানাতে আরো কোনো আবেগি বানোয়াট কথাবার্তা বলার আছে নাকি?

 

হয়তো পরে বলবো, কিন্তু এখন সত্যটা আমার হাতেই আছে।

 

- আমাকে শুধু বলটা দাও।
- হ্যাঁ, হ্যাঁ!

 

ঠিক আছে, মনে রাখিস পোকেমন ধরতে কিন্তু দক্ষতা লাগে না...

 

-... তো তুই এটা করতে পারবি।
- সাহস জুটানোর জন্যে একটা ভালো কথা!

 

ঠিক আছে, তবে ওটার ও তোকে পছন্দ করতে হবে, তো....

 

...তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব কর, ঠিক আছে?

 

এই, কিউবোন। কি খবর বন্ধু?

 

তুমি তো জানোই, সবাই ই তো আর...

 

..নিজের মৃত বংশধরদের মাথার খুলি পড়ে ঘুরে বেড়ায় না,

 

কিন্তু তুমি তো জানোই যে, তুমি সেটা করো৷

 

ঠিক আছে। তাঁর এটা পছন্দ হয়নি।

 

তাঁর এটা মোটেও পছন্দ হয়নি।

 

- জ্যাক।
- ওটা ছুঁড়ে মার।

 

- বলটা ছুঁড়ে মার।
- বীরপুরুষের মতো।

 

আমি এটা করতে পেরেছি!

 

এইতো পেয়েছি।

 

বাতিটা সুবজ না।

 

ওটা এখনো সবুজ হয়নি, এটা তো খারাপ লক্ষণ জ্যাক, তাইনা?

 

দৌড়া!

 

- সে আমাকে বেছে নেয়নি!
- দৌড়া।

 

- সে আমাকে বেছে নেয়নি, জ্যাক!
- আমি তো সেটা দেখতেই পাচ্ছি।

 

আমাকে তাঁর পছন্দ হয়নি।

 

কিউবোন!

 

ওটা একটা বদমেজাজি কিউবোন ছিলো। ওটা আমাকে মায়ের কথা মনে করিয়ে দিলো।

 

তো উম, আমি জানি না এটা শুনতে অস্বাভাবিক লাগবে কিনা, বা যাই হোক।

 

বলে ফেল, জ্যাক। আমি তোর উপর রাগ করতে করতেও ক্লান্ত এখন।

 

- আমার তোকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।
- আবার সে একই কথা?

 

ঠিক আছে শুনো, আমাদের পরিচিত সবাই ই শহর ছেড়ে চলে গেছে আর এখন আমিও যাচ্ছি।

 

হ্যাঁ, কিন্তু এটাই ঠিক, তোর জন্যে যেটা ভালো হয়, সময় পেলে তোর তাই করা উচিৎ।

 

এটাই তো আমিও করছি। তুই তো জানোসই যে আমি আমার কাজ করেই যাচ্ছি।

 

খুব শীঘ্রই প্রমোশন [পদোন্নতিও] পেয়ে যাবো।

 

ইন্যুরেন্স বীমার আবার কিসের প্রমোশন [পদোন্নতি]?

 

উচ্চপদস্থ ইন্স্যুরেন্স বীমা প্রদানকারী?

 

না আসলে আমি যে পদে আছি সেটা এটার থেকেও দুই ধাপ উপরে।

 

তুই তো আমাকে হতভম্ব করে দিলি ৷ এটা সত্যি হতে পারে না!

 

ওহ, আমার কাজের সময় এসে গেছে।

 

দাঁড়া, পাঁচটা ভয়েজ মেইল?
আমি কখনোই পাঁচটা ভয়েজ মেইল পাইনি।

 

বীমার সমন্ধে কোনো জরুরি বিষয়ের জন্যে হয়তো?

 

কে এটা?

 

উম, এটা রাইম শহরের এক পুলিশের থানা থেকে ছিলো।

 

একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।

 

দয়া করে, এটা করিয়ো না।

 

এটা সবসময়ই শুনতে পায় যে, দয়া করে এটা করো। ধন্যবাদ....ধন্যবাদ।

 

তোমার জিহ্বাটা অনেক উপাদেয়।

 

এখানে এই লিকটাঙটা কার?
[লিকটাঙ এক ধরনের লম্বা জিহ্বাওয়ালা পোকেমন, যারা লড়াই করতে অক্ষম]

 

কারোরই, না?

 

আমাদের সাথে ভ্রমণ করার জন্যে ধন্যবাদ।

 

দয়া করে, এই ছোট্ট তথ্যমূলক ভিডিওটা দেখুন, আর আপনাকে রাইম শহরে স্বাগতম জানাচ্ছি।

 

প্রাচীনকাল থেকেই,

 

পোকেমন আমাদের পৃথিবীরই একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলো।

 

আদিম মানবসভ্যতা তাদের ধরতো আর প্রশিক্ষণ দিতো...

 

...যেনো তাঁরা নিজেদের শক্তিগুলোকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারে।

 

এই সম্পর্কগুলোই একটা নতুন রূপ লাভ করেছে যাকে আমরা এখন...

 

...পোকেমন যুদ্ধ হিসেবে জানি।

 

এসব পরিবর্তনের পেছনে একজন মানুষেরই অবদান আছে, তিনি হচ্ছেন হাওয়ার্ড ক্লিফোর্ড...

 

...ক্লিফোর্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান।

 

একটি দুরারোগ্য ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হবার পর,

 

তিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন...

 

...আর এখন রোগের চিকিৎসার জন্যে পৃথিবীজুড়ে ঔষধের সন্ধান করছেন।

 

আর আমি বুঝতে পারলাম যে আমি যেটার সন্ধানে ছিলাম,

 

সেটা হলো নিজের বিকাশকে আরো উন্নত করে তোলা।

 

আর কিভাবে তা পোকমনদের সাথে মিলেমিশে করা যায়, সেটাও আবিষ্কার করলাম।

 

আর তিনি তিনি তার আবিষ্কারটাকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন...

 

...সারাবিশ্বের মাঝে।

 

এটাই হাওয়ার্ড ক্লিফোর্ডকে রাইম শহর বানাতে অনুপ্রেরণা দেয়।

 

এমন একটা স্থান যেখানে মানুষ এবং পোকমন উভয়ই একত্রে বসবাস করবে...

 

অন্যান্য জাতিদের মতো না, যেখানে তাদের পোকেমনগুলো জঙ্গলে থাকে।

 

এখানে আমরা একত্রে বসবাস করি এবং কাজও করি...

 

কোনো যুদ্ধ নেই, কোনো প্রশিক্ষকও নেই।

 

কোনো পোকেবলের ব্যবহারও করা হয়না।

 

একটা অটুট, আর অত্যন্ত সুরালো দুনিয়া।

 

আমাদের সকল নাগরিকদের,

 

রাইম শহরে স্বাগতম জানাচ্ছি।

 

স্কুয়ার্টেল ছাড়া তাদের (দমকলকর্মীদের) পক্ষে এই আগুনের নিভানো সম্ভব ছিলো না।

 

স্কুয়ার্টেল, স্কুয়ার্টেল।

 

- হাই, টিম।
- লিউটেন্যান্ট ইয়োসিদা।

 

তোমার বাবা ছিলেন সেরাদের কাতারের অন্যতম একজন।

 

তিনি ছিলেন তাঁর জায়গায় এক কিংবদন্তী।

 

ধন্যবাদ, ধন্যবাদ এটা বলার জন্যে।

 

তাঁর সাথী আর তাকে হারানো একটা ভীষণ শোকাবহ ব্যাপার।

 

- উনার সাথী কে?
- তাঁর পোকেমন।

 

ওহ... আমি জানতাম না...

 

মাফ করবেন, আপনারটা (পোকেমনটা) কি আমার উপর রাগান্বিত?

 

- স্নুব্বুল?
- হ্যাঁ।

 

তাকে হয়তো বাইরে দিয়ে অনেক বদবেজাজী দেখায়,

 

কিন্তু আমি তোমাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, সে ভেতর থেকে অনেক শান্তশিষ্ট স্বভাবের।

 

যদি কিছু মনে না করো তাহলে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, তুমি পোকমন রাখোনি কেন?

 

আমার এখনো মনে আছে, আমি হ্যারির কাছে শুনেছিলাম যে, তুমি পোকেমন প্রশিক্ষক হতে চেয়েছিলে...

 

-.... যখন তুমি ছোটো ছিলে।
- হ্যাঁ, তবে সেটা অতটা কাজে দেয়নি।

 

আমি এখন ইন্যসুরেন্সে কাজ করি।

 

বুঝতে পেরেছি।

 

কিন্তু টিম, দয়া করে এসবের দায়ভার নিজের উপর চাপিয়ো না।

 

কারোরই এ ধরনের পরিস্থিতিতে একা থাকাটা উচিৎ হবে না।

 

- তুমি যদি একটুও তোমার বাবার মতো হয়ে থাকো...
- আমি নই।

 

আমার দাদিমাই আমাকে লালন-পালন করে বড় করেছেন।

 

আপনার কাছে কি ঘরটার চাবি আছে? আমার সেখানে যেয়ে জিনিসপত্রগুলো গুছিয়ে নেয়া উচিৎ।

 

অবশ্যই, অবশ্যই।

 

- এইযে, ঠিকানাটা।
- দারুণ।

 

- তুমি চাইলে আমি তোমাকে সেখানে নিয়ে যেতে পারি।
- না, না। আমি যেতে পারবো।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

টিম...

 

এই চাকরী, এটার চাহিদাটা অনেক।

 

কিন্তু প্রতিদিন তাঁর কল্পনা জুড়ে শুধুমাত্র তুমিই ছিলে...

 

সে তোমাকে এ পৃথিবীর সবকিছু থেকেই বেশী ভালোবেসেছে।

 

উম, আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগলো, লিউটেন্যান্ট।

 

- মাফ করবেন।
- ট্রেকো..[ট্রেকো, এক ধরনের উদ্ভিদজাতীয় পোকেমন]

 

- গাছ!
- ঠিক আছে...

 

সাইডাক।

 

সাইডাক।

 

তুমি কি আমাকে ছিনতাই করতে এসেছো নাকি শুধু বিরক্ত করতে?

 

- সাইডাক।
- সে আমার সাথে এসেছে।

 

- আমাদের কথা বলতে হবে।
- আমাদের কথা বলতে হবে?

 

আমি অপেক্ষা করছিলাম এটা দেখার জন্যে যে, কে ওই মেইলবক্সটা খুলবে...

 

আর তুমি নিস্তব্ধ কাহিনীটার দিকে পা বাড়িয়ে দিলে।

 

এই ধরনের কাহিনীই ভয় ছড়ায়।

 

আর তাঁরা ভয়কে ভয় পায়। কিন্তু আমি ভয়কে, ভয় পাইনা।

 

আমি হাঁটতেই থাকি আর আমি বলতেই থাকি এবং আমার যা ইচ্ছে হয় তাই করতে থাকি...

 

...সত্যের শিখরে পৌছানোর জন্যে আর এটাই হলো সবচেয়ে বড় চিরন্তন সত্য।

 

দুঃখিত, আপনি কে?

 

লুছি স্টেভেন্স। সি.এন.এম চ্যানেলের সাংবাদিক।

 

ওহ...তোমাকে তো এসব কাজের করার মতো প্রাপ্তবয়স্ক মনে হয়না।

 

আমি সি.এন.এম পত্রিকার জন্যে কাজ করি, সারাদিন সেখানে সব পোকেমনের তালিকা বানাই, ঠিক আছে?

 

- শীর্ষস্থানীয় দশটি সুন্দর পোকেমন।
- আচ্ছা, আমার দাদিমারও ওগুলো অনেক পছন্দ।

 

হ্যাঁ খবরের শিরোনাম লেখা থাকে, "তাঁরা সবাই সুন্দর"!

 

আমার এসব কাহিনীর জন্যেই তাদের কাজে আটকে গিয়ে মাঝখানে অনেক সময় নষ্ট হয়।

 

না, না, এখন না, সাইডাক। আমি একটা সূত্র সমাধানের কাজ করছি...

 

ঠিক আছে, আমি যাই, উহ...

 

আমি চাই তুমি আমার সাথে গিয়ে একটা জবানবন্দি দাও আর সেসব বলো...

 

...যা তুমি হ্যারি গুডম্যান সম্পর্কে জানো।

 

- দাঁড়াও, কি?
- হ্যারি বড়সড় কিছু একটা করার পরিকল্পনা করছিলো।

 

বিশাল বড়!

 

আর তারপর হঠাৎ, তাঁর গাড়িটা ব্রিজ থেকে পড়ে চুড়মাড় হয়ে যায়, আমার তা মনে হয়না,

 

কিছু তো একটা গড়মিল আছে, আর আমি সেটা খুঁজে বের করবোই।

 

এই দেখো, আমি ওই লোকটার সমন্ধে খুবই কম জানি।

 

- আমি তাকে অনেক বছর ধরে দেখিও নি।
- তোমার পোকেমন সঙ্গী কোথায়?

 

আমার তা নেই, আর আমাকে সবাই শুধু এ ব্যাপারেই জিজ্ঞাসা করে কেন?

 

- নিঃসঙ্গ, সম্ভবত তুমি কিছু একটা লুকাচ্ছো।
- সাইডাক।

 

- ঠিক আছে, আমাকে এখন যেতে হবে।
- এই!

 

আমি হয়তো বিনা নিমন্ত্রণেই এসে গেছি, কিন্তু আমি একটা কাহিনীর ঘ্রাণ পাচ্ছি,

 

আর আমি সেটার ব্যাপারে বিস্তারিত বের করেই ছাড়বো।

 

ঠিক আছে, তুমি সেটাই করিয়ো।

 

- চলো সাইডাক, চলো যাই।
- সাইডাক।

 

- কে এসেছে?
- হ্যালো?

 

আমি স্নেকস, আমি জিনিসপত্রগুলো এনেছি।

 

এসব ওই দরজার সামনে রেখে দাও, আর এখান থেকে বেরিয়ে যাও৷

 

ঠিক আছে, জনি। কিন্তু আমার টাকার কি হবে?

 

এখনো উনি এসব আদিযুগের গুপ্তচর মুভিই দেখেন।

 

ধুর ছাই...

 

এটা আবার কি ছিলো?

 

"প্রিয় টিম, আমি আরো ভালো করতে পারবো যদি তুমি আমাকে সে সুযোগটা আরেকবার দাও...

 

...আমি সবসময়ই তোমার থাকার জন্যে একটা জায়গা বরাদ্দ রাখবো।"

 

তোমার বাবা তোমাকে স্টেশন থেকে তুলে নিবেন।

 

আমি যাবো না৷

 

- কি?
- আমি যেতে চাইনা...

 

আমি আপনার আর দাদিমার সাথেই থাকতে চাই।

 

ওহ, হায়রে!

 

এটা আমার জীবনে অনেক গুরত্বপূর্ণ একটা দিন।

 

আমি জানি, টিম।

 

কিন্তু তোমার মাকে ডাক্তার দেখাতে হতো, আমি অপেক্ষা করতে পারিনি।

 

কেউ ওখানে আছে?

 

হ্যালো?

 

আউচ, পা টা মচকে গেলো...

 

ঠিক আছে, ঠিক আছে, ঠিক আছে।

 

তুমি যেই হও না কেন...

 

...শুনে রাখো আমি কিন্তু এটা চালাতে জানি।

 

- একটা পিকাচু!?
- ওহ...ঈশ্বর!

 

এই, ছোট্ট ছেলে, তুমি এখানে ভেতরে কিভাবে আসলে?

 

আমি জানি তুমি আমার কথা বুঝতে পারছো না,

 

তবুও বলছি স্ট্যাপ্লারটা নামিয়ে রাখো...

 

নাহলে কিন্তু আমি তোমাকে বিদুৎস্পৃষ্ট করবো।

 

তুমি কি এইমাত্রই কথা বললে?

 

ওহ, তুমি কি আমার কথা বুঝতে পারছো?

 

দাঁড়াও, দাঁড়াও, দাঁড়াও, দাঁড়াও....

 

ওই কথাটার মধ্যে চোখের ভাষারও একটা সংস্পর্শ ছিলো। তুমি আমাকে শুনেছো।

 

- না, না, না।
- হ্যাঁ, তুমি শুনেছো! ওহ, ঈশ্বর! এটা তো দারুণ ব্যাপার।

 

- থামো, থামো, থামো!
- তুমি আমার কথা বুঝো!

 

আমি কতটা একা অনুভব করছিলাম।

 

- আমি যাচ্ছি।
- না, বাছা, আমার তোমার সাহায্য লাগবে।

 

- আমার কথাটা শুনো, আমি অনেক বড় বিপদের মধ্যে আছি।
- আমি চলে যাবো। আমি চলে যাবো।

 

- না, না, না।
- মাফ করবে, এপোম...

 

...আমরা এখানে একটু একান্তভাবে গোপনীয় আলাপ করছি, তো দয়া করে...

 

- কথা বলা বন্ধ করো, তুমি শুধুই আমার একটা কল্পনা!
- তুমিই কল্পনা।

 

তুই বের হো! শু! যা!

 

আমি ব্যাপারটাকে হালকাভাবে নিচ্ছি না৷ ওই, ওই এপোমটাকে ঠিক লাগছে না।

 

নেমে যাও!

 

উঠে দাঁড়াও, বাছা!
সে আবারো ফিরে আসছে!

 

আচ্ছা, তাহলে তুমি এটা করতে পারো...

 

ঠিক আছে, তুমি তাকে কামড়াবে, তুমি চিৎকার করতে যাবে,

 

আমরা ধাঁধা মিলাচ্ছি, আমরা তো ধাঁধার খেলাই খেলছি না,

 

ঠিক আছে, আমি একটা ছুরি নিবো।

 

- না ছুরি না৷
- ঠিক আছে ছুরির পরিকল্পনাটাও বাজে, আমি অন্যকিছু ভাবি।

 

এটা খাও!

 

তোমাকে স্বাগতম জানাই। এটা তো একটা ছোট্ট ক্ষুধার্ত লোক৷

 

চলো বাছা, যাওয়া যাক!

 

ছাদে চলো!

 

দারুণ পরিকল্পনা, তুমি দরজাটা ধরে রাখো, আমি কাউকে সাহায্যে জন্যে ডাকছি৷

 

- কি?
- সাহায্য করো!

 

হে ঈশ্বর, সাহায্য করো!

 

ওহ, বা*।

 

সাহায্য করো! সাহায্য করো!
হে ঈশ্বর, সাহায্য করো!

 

ওহ, তারা তাকে জ্যান্ত চিবিয়ে খাচ্ছে!

 

ওহ, তাকে জ্যান্ত চিবিয়ে খাচ্ছে!

 

একজন মানুষ মরছে!

 

কেউই এগিয়ে আসছে না, মানুষ কতটা নিষ্ঠুর!

 

ওহ, ওহ, তোমার প্যান্টটা খুলে পিছনে বাঁধো আর বাতাসের বেগে দৌড়াও৷

 

তারা মনে হয় তোমার নগ্নতা দেখে আরো আকর্ষিত হচ্ছে...

 

ঠিক আছে।

 

ঠিক আছে। আমরা এটায় ঝাঁপ দিবো।

 

- না, না! আমি এসব সরু আবর্জনার নালিতে ঢুকবো না।
- ভালো কথা,

 

এসব পাগলাটে পোকেমন তোমার সাথে কি কি করেছিলো, সেটা আমাকে জানিয়ো।

 

তুমি বীরপুরুষের মতো মরবে।

 

- সোজা লাঠির মতো নেমে আসলে, বাছা।
- আমাকে একা থাকতে দাও।

 

ওহ, মনে হচ্ছে কে জানি আবার খোশমেজাজে ফিরে এসেছে।

 

দৌড়াও! রাক্ষুসে এপোমস আসছে!

 

দেখো...

 

পালাও! যাও, যাও, যাও, যাও!

 

তারা...

 

আমার মনে হয়, প্যান্ট পড়ে নেওয়াটাই এখন তোমার জন্যে ভালো হবে।

 

শু! যা!

 

তুমি জানো, আমি তোমাকে জাঙ্গিয়া পড়ার মতো লোক ভেবেছিলাম, কিন্তু এগুলোও সুন্দর।

 

আমি, জাঙ্গিয়া পড়ি না।
তুমি তো জানোই, আমি লাজুক না।

 

মাফ করবেন, মাফ করবেন, এইযে, দুঃখিত,

 

আপনি ওকে শুনতে পাচ্ছেন তো, তাইনা?
আপনি ওর কথার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন?

 

পিকা-পিকা।

 

ওহ, পিকা-পিকা-পিকা, ও তো দেখতে ভারী মিষ্টি!

 

আপনিও দেখতে ভারী মিষ্টি, তাঁরা আমার কথা বুঝেনা, বাছা।

 

এটা আমিই, এসব ওই জিনিসটার জন্যেই হয়েছে যেটা আমি নাক দিয়ে টেনেছিলাম।

 

না, না তেমন কিছু না, ওটা একটা গ্যাস ছিলো, আমি গ্যাস নাক দিয়ে টেনেছিলাম।

 

ভুলবশত, ভুলবশত....

 

যদি উল্টাপাল্টা কিছু করে আইন ভেঙ্গে হুসগোতে ফেরত যেতে না চাও, তাহলে চলো।

 

- আর কেউই কি তাকে শুনতে পাচ্ছেনা?
- এমনকি আমার সাথেও এরকমটা প্রথমবারের মতো হচ্ছে, বাছা।

 

আমি পুরোটা সময় জুড়েই কথা বলার চেষ্টা করছিলাম আর তাঁরা শুধু শুনছিলো "পিকা-পিকা"।

 

কেউ আমাকে আদর করলো, নাহলে চুমো দিলো, আমাকে আঙ্গুল দিয়ে খোঁচালো...

 

-... এটা ভীষণ পীড়াদায়ক।
- কেউ আছেন? কেউই কি ওকে শুনতে পাচ্ছেন না?

 

আপনি ওকে শুনতে পাচ্ছেন? আপনি ওকে কথা বলতে শুনতে পারছেন?

 

তুমি বুঝতে পারছো না কেন, বাছা?

 

তুমিই একমাত্র লোক যে আমাকে শুনতে পায়।

 

- এটাকেই বলে নিয়তি৷
- এটাকে নিয়তি বলে না৷

 

- তাহলে তুমি ওই ঘরটাতে ছিলে কেন?
- সেটা আমার বাবার জায়গা।

 

এজন্যই আমি সেখানে ছিলাম,
তুমি সেখানে কেন ছিলে?

 

তুমি হ্যারির ছেলে?

 

তুমি উনার নামটা কিভাবে জানলে?

 

তুমিই কি হ্যারির সেই পোকেমন সঙ্গী?

 

তুমি কফি খাবে?

 

কারণ, আমার জন্যে কফিই উপকারী।

 

হ্যাঁ, চলো তাহলে কফিই খেয়ে নেই।

 

আচ্ছা, চলো।

 

আমিও তো সেখানেই ছিলাম,

 

এর মধ্যে দিয়েই আবার এলো, ভুলে যাওয়ার বাজে রোগটা...

 

আমার অতীত সমন্ধে জানার শুধু একটাই উপায় ছিলো, এই টুপিটার মধ্যে থাকা হ্যারির নাম আর ঠিকানাটা।

 

তো, আমি ওই ঘরটাতে যাই আর সেখানেই তখন তোমাকে পেয়ে যাই।

 

জিগিলি পাফ...জিগিলি...

 

- আমি জানি না, হয়তো আমিই অনেক গভীরে পৌছে গিয়েছিলাম।
- কিসের গভীরে?

 

বুঝোই তো, ওইযে ভুল লোকের সাথে দলের সাথে চলা, তেমনই কিছু একটা..

 

...যেটা হয়তো সবার সাথেই হয়েছে।

 

মৃত্যুদের পুঁতে ফেলতে দেখা, দরজা বন্ধ করে দেয়া।

 

তবে অনেক সময় ঠিক কাজেও ভুল হয়ে যায়, আর ভুল কাজেও ভুল হয়।

 

- দাঁড়াও, তুমি কাকে কল করছো?
- কাউকেই না।

 

আচ্ছা, আচ্ছা, না এটা শুনেও ভালোই লাগছে, এটা শুনেও ভালোই লাগছে। আসলে তালিকাটাও সুন্দর।

 

দাঁড়াও, আমি দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি, তুমি কি আমাকে ছাড়া অন্যদের কথাও শুনতে পাচ্ছো?

 

আমি শুধু জানতে চাচ্ছি যে, আমি তোমার কথা বুঝতে পারছি কেন?

 

এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করতে পারবোনা, বাছা। আমি বলেছিলামই তো, আমার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গেছে। আমি কিছুই মনে করতে পারছিনা।

 

ঠিক আছে, তো তুমি কথা বলতে পারা একটা পিকাচু নিয়ে ঘুরছো, যে স্মৃতিশক্তিহীন, আর সে ক্যাফেইনে আসক্ত। [ক্যাফেইন, কফি তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদান।]

 

আমি যেখানে খুশী সেখানেই থাকতে পারি, এটা শুধু আমার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত।

 

আরেকটা দাও, বাড়তি শটওয়ালা।

 

- যেমন রাতে। ধন্যবাদ সোনামণি।
- লুডিকোলো!

 

দেখো, আমি অনেক ভালো একজন গুপ্তচর...

 

...কিন্তু আমার কাছে যদি স্মৃতিশক্তিই না থাকে, তাহলে তো নিজের রহস্যটা উন্মোচন করতে পারবো না।

 

- তাহলে তুমি জানলে কিভাবে যে তুমি গুপ্তচর?
- আসলে সেটা, আমি নিজের জেলি দিয়ে অনুভব করতে পারি।
[জেলি বলতে, মনকে বুঝাচ্ছে]

 

- সেটা কি, সেটা আবার কি?
- এই জেলি, এটা এমন জিনিস, তুমি সেটাকে অনুভব করতে পারবে...

 

...যখন অন্যরা তোমাকে ভুল বলা সত্ত্বেও, তুমি সত্যিইসত্যিই কোনোকিছুকে সঠিক বলে মন থেকে বিশ্বাস করবে।

 

এজন্যই আমি হ্যারিকে খুঁজতে চাই। সে ই আমার অতীতের চাবি।

 

- লুডিকোলো!
- ধন্যবাদ, পুতুল।

 

তোমার জন্যে আমার কাছে একটা দুঃসংবাদ আছে, কারণ, উহ...

 

....হ্যারি মারা গেছে।

 

কি? না।

 

না, না, না, হ্যারি মারা যায়নি।

 

না, হ্যারি মারা গেছে। তোমার কথাটা ভুল, দুঃখিত।

 

আমি পুলিশের তৈরিকৃত প্রতিবেদনে এটাই দেখেছি।

 

- কারণ শুধু পুলিশ বলেছে সে মৃত সেজন্যে...
- মানে, আইনানুযায়ী তিনি এখন মৃতই।

 

সত্যিই? তাঁরা কি কোনো লাশ খু্ঁজে পেয়েছে?

 

আমার তো তা মনে হয়না।

 

আর যাই হোক, সেই প্রতিবেদনে কি লেখা আছে যে আমিও মৃত?

 

কারণ যেহেতু আমি বেঁচে আছি আর ঘুরে বেড়াচ্ছি তার মানে হ্যারিও বেঁচে আছে।

 

মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, কিন্তু এখন আবার চালু হবে...

 

- যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি এটার সমাধান করছি!
- ঠিক আছে, আমিও আছি, কিসের সমাধান করবে?

 

ওহ, জেনে খুশী হলাম যে তুমিও সাথে আছো।

 

ঠিক আছে, তাহলে বলছি সেটা,

 

হ্যারি নিজেই তাঁর মৃত্যুর নাটক সাজিয়েছে...

 

...নাহলে, অন্যকেউ হ্যারির মৃত্যুর নাটকটা সাজিয়েছে।

 

হ্যারি অন্য কারো মৃত্যুর নাটক সাজিয়েছে।

 

- শেষ কথাটা একটুও মানাচ্ছে না।
- না, না, এটা মানাচ্ছে না।

 

কিন্তু প্রথম দুইটা মানাচ্ছে, বাস্তববাদী চিন্তাভাবনা।

 

- না, উহ, আমাকে যেতে হবে, আমার কাজ শেষ এখানে...
- না, এখনো আমাদের কাজ শেষ হয়নি...

 

দাঁড়াও, দাঁড়াও, এক মিনিট দাঁড়াও, তুমি কোথায় যাচ্ছো?

 

- একটু দাঁড়াও, আমাদের একে অন্যের দরকার পড়বে।
- না, পড়বে না।

 

আমার কোনো পোকেমনের দরকার নেই, এখন। বুঝলে?

 

আর একজন বিশ্বসেরা গোয়েন্দার কি হবে!

 

কারণ, যদি তোমার বাবাকে খু্ঁজে পেতে চাও, সেক্ষেত্রে আমিই তোমার জন্যে উপযুক্ত পেট (পোষা প্রাণী)।

 

আমার মনে হয়, সে (পিকাচু) বিশ্বসেরা গোয়েন্দা হয়ে থাকলে, এতক্ষণে উনাকে খুঁজেও পেয়ে যেতো।

 

আর আমি এখানে আমার বাবাকে খুঁজতে আসিনি।

 

আমি এখানে, শুধু বিদায় জানাতে এসেছি।

 

এই, এই, বিদায় জানানোর মতোও তো কেউ নেই।

 

দেখো, তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে পারো, আর আমি পোকেমনের সাথে।

 

আমরা দুজনে একে অপরের সাথে কথা বলতে পারি।

 

এটা সচরাচর হয়না, বাছা। এটার নিশ্চই কোনো কারণ আছে।

 

- তুমি কি...
- এটা একটা যাদু, যেটা আমাদের দুজনকে একত্রিত করেছে...

 

আর সেই যাদুটা হলো 'আশা'।

 

একটা আশার আলো যে, হ্যারি এখনো বেঁচে আছে।

 

ওহ, তুমিও সেটা অনুভব করো। তুমিও সেটা নিজের জেলিতে অনুভব করো, তাইনা?

 

আমার জেলি বলতে কিছুই নেই।

 

আমরা এটা একসাথে মিলে করবো। তুমি আর আমি...

 

আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা...

 

আমি কাল সকালে এখানে এসে তোমার সাথে দেখা করবো।

 

দারুণ।

 

- তুমি কোথায় যাচ্ছো?
- নিজের ঘরে।

 

তুমি "নিজের ঘর" দিয়ে কি বুঝাচ্ছো?

 

- কি? আচ্ছা, তুমি সোফায় ঘুমিয়ে যেয়ো।
- না, আমি সোফার উপরে ঘুমাবো না।

 

তাহলে, তুমি চুলার উপর ঘুমিয়ে যেয়ো।

 

- ও প্রিয়, তুমি কি আমার জন্যে দরজাটা খুলে দিবে?
- হে ঈশ্বর, এটা আমি কি করলাম?

 

আমি এইমাত্র একজনকে আমার ঘরে আসতে নিমন্ত্রণ করলাম!

 

আমিও কখনোই এরকমটা করি না, আমি এমন পোকেমন নই।

 

সব জায়গায় ধুলাবালি, কোনো আঙ্গুলের ছাপও নেই।

 

এটার দেখা পাচ্ছিনা।

 

- এখানে কি হচ্ছে এসব?
- আমি সূত্রের সন্ধান করছি, নিজের অতীতের সমন্ধে।

 

- এটা কি তোমার রুম?
- না।

 

- হ্যারির কি আর কোনো সন্তান আছে?
- না।

 

যখন আমি ছোটো ছিলাম, তখন তিনি আমাকে এখানে রাখতে চেয়েছিলেন,

 

তো উনি এটাকে আমার শৈশবের ঘরের মতো করে সাজিয়েছেন।

 

আমারা কি এ ব্যাপারে কথা বলতে পারি যে, তোমার কাছে পিকাচু বিছানা কেন আছে?

 

- এটা কাকতলীয় ব্যাপার।
- দুঃখিত, তুমি কি মুখ খুলে কিছু বলবে?

 

আমি তোমার কথা শুনতে পাচ্ছিনা।

 

আমি কখনোই এতটা লজ্জা পাইনি আর একই সাথে সংকোচও করিনি।

 

- তুমি কি আমাকে বাতির ঢাকনা বানাতে চাও?
- ওহ, হয়তো।

 

দাঁড়াও, দাঁড়াও, দাঁড়াও, এসব পোকেমন কার্ডস (তাস)...

 

আর পোকেমন লড়াইয়ের পোস্টার। এগুলোর মাঝে একটা সংযোগ আছে, তাইনা?

 

- তুমি পোকেমন ভালোবাসো?
- না।

 

- হ্যাঁ, হ্যাঁ, তুমি বাসো।
- এসব অনেক আগের কাহিনী...

 

...আমার বাবার এই শহরে আসারও আগের সময়কার।

 

আর উনার ছেলের থেকেও পোকেমনের সাথে বেশী সময় কাটানোর আগের সময়কার।

 

উম, আচ্ছা, বাবাকে দোষারোপ করছো।

 

আচ্ছা, দেখো, এটা ব্যাপারে কি বলবে...

 

...এই ছবিটা সারা ঘর জুড়েই আছে, উনার নিশ্চই হ্যারির সাথে কোনো সমন্ধ আছে।

 

উনি হয়তো আমাকেও চিনেন। উনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এজন্যে।

 

না, তিনি নন।

 

এটা আমার মা।

 

আমার বয়স যখন ১১ বছর ছিলো, তখন তিনি মারা যান।

 

ওহ, আমি দুঃখিত, আমি আসলে...

 

...আমি বুঝতে পারিনি।

 

কাল সকালে, আমি তোমাকে ইয়োসিদার কাছে নিয়ে যাবো যেনো আমরা কিছু প্রশ্নের উত্তর পেতে পারি।

 

- আহ, আমার প্রমাণ!
- এসব কি হচ্ছে?

 

কঠোর পরিশ্রম, এটা তাই!
আর যাই হোক শুনো...

 

আমরা পুলিশের কাছে যাবোনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না কাউকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে...

 

- তো আমার প্রমাণগুলো জায়গা মতো রেখে দাও, পারবে তো?
- এগুলাকে প্রমাণ জোগাড় করা বলে না, এসব দুর্ধর্ষ খুনীদের মতো কাজ-কারবার।

 

- অনেকটা প্রমাণের মতোই।
- সেটার মানেই আবার কি?

 

আমি নিজের স্মৃতিশক্তিটাকে সচল করতে চাচ্ছি, আগের কাজগুলোকে পর্যবেক্ষণ করছি, সেজন্যেই এসব করতে হয়েছে।

 

আর এভাবেই আমি এটা খুঁজে পেলাম...

 

...এটাকেই ফরাসিরা বলে, কালিয়েন্তে ফিয়েস্তা।

 

- ফরাসিরা না।
- আমার নখটা শোঁকো।

 

- আমি জীবনেও তোমার নখ শোঁকতে যাবো না।
- কাপুরুষ কোথাকার!

 

আসল কথাটা হচ্ছে, গতকাল যখন এপোমগুলো আক্রমণ করেছিলো, তাদের থেকে এই "আর" এর ঘ্রাণই পেয়েছিলাম।

 

- "আর"?
- বিংগো! লা কুকারাচা।

 

তো আমার মনে হচ্ছে, হ্যারি এই মামলাটা থেকে ছাড়া পেতে চাচ্ছিলো,

 

জবরদস্তি করায় সে যাদের অধীনে ছিলো, তারা উনার পিছে ভাড়াটে গুন্ডা লাগিয়ে দেয়...

 

...উনাকে ইচ্ছামতো শায়েস্তা করতে।

 

আমাদের হয় হ্যারির পদক্ষেগুলো যাচাই করতে হবে, নাহয় নিজেদেরই মামলাটার সমাধান করতে হবে,

 

নাহলে আমাদেরকে এসবের ভিক্তিমূলে থাকা প্রধান খারাপ লোকটা পর্যন্ত পৌছাতে হবে...

 

...তাকে বা তাঁর আসল চেহারাটা ফাঁস করতে!

 

- বারবার এটা করা বন্ধ করো।
- তো, এখন উপায় কি?

 

জবাবটা এই রুমের মধ্যেই লুকিয়ে আছে।

 

এটা কোনো রুম না। এটা একটা আবর্জনার কারখানা!

 

শুধু ময়লা, আর কাগজপত্র আর...

 

...খবরের কাগজ ছড়িয়ে আছে।

 

তুমি কিছু পেয়েছো, বাছা?

 

আসলে আমার সি.এন.এম চ্যানেলের একজন জুনিয়র সাংবাদিকের সাথে দেখা হয়েছিলো।

 

সে হ্যারিকে নাকি নিয়ে একটা গল্প লিখছে...

 

আমার মনে হয়, সে যতটা ভান করছিলো তার থেকেও অনেক বেশী কিছু জানে।

 

বুদ্ধিমানেরা সবসময় সেটাই করে।

 

আমাদেরকে তাঁর কর্মস্থলে যেতে হবে আর তাকে চাপ দিতে হবে।

 

- এটা কাল্পনিক রূপকথার মতো।
- হ্যাঁ, রুপকথা কি সেটা আমি জানি।

 

আমি এটা পান করেছি, আমি এটাও পান করছি...

 

...এটা শুধুমাত্র আমার ব্যাক্তিগত জীবন, যেখানে তুমি পা বাড়িয়েছো।

 

না, না।

 

- আমরা এভাবে যাচ্ছি না।
- ঠিক আছে, আমি হেঁটেই যাবো।

 

আমাকে ঘন্টায় ১ লক্ষ বার করে কদম ফেলার চেষ্টা করতে হবে।

 

হ্যালো, আমি রজার ক্লিফোর্ড, সি.এন.এম এর প্রেসিডেন্ট আর ক্লিফোর্ড এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান।

 

আর আমি হাওয়ার্ড ক্লিফোর্ড,

 

রাইম শহর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার কীর্তিমান ব্যাক্তি।

 

একইসাথে, এই ঐক্যতানের সৌহার্দ্য বজায় রাখতে,

 

আমরা আবারো এই শহরের সবচেয়ে দীর্ঘতম শোভাযাত্রার আয়োজন করছি।

 

- আর আপনাদের এখানে না এসে থাকাটা ঠিক হবেনা।
- তো এই সপ্তাহের শেষে,

 

- আমরা নাগরিকদের স্বাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি...
- আর পোকেমনদেরও সেখানে আসতে হবে।

 

এটি মানুষ এবং পোকেমনের মাঝে একতা বজায় রাখা উপলক্ষ্যে আয়োজনকৃত উৎসব।

 

আর এবার, কাঁটো!

 

- ওহ মনে হচ্ছে এটা ভালো ছিলো।
- ওহ, চুপ করো তো, বাবা!

 

- তাকে দেখতে ভালোই মনে হয়।
- রজার্স, দয়া করে...

 

এটা আমাদের পক্ষ থেকে নাগরিকদের জন্যে বরাদ্দ করা একটা উপহার।

 

কীর্তিমান ব্যাক্তি, আসলেই?

 

তাহলে "পৃথিবীর রক্ষাকর্তা" রাখলে কি সমস্যা ছিলো? "

 

তোমার কর্মকর্তারাই তো বিজ্ঞাপনটা লিখেছে, বাবা।

 

ওহ, আপনার কাছে ক্যান্সার প্রতিকার করার কোনো নিরাময় সংস্করণ আছে নাকি?

 

ওহ, ঠিক আছে, এখন আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন, যেমনটা সবসময়ই করে এসেছেন।

 

- দিত্তো।
- যাই হোক, কেউই আপনার এই পোকেমন পছন্দ করে না।

 

ওইযে সে...

 

এবার বুঝেছি, তোমাকে এতটা উৎসাহিত লাগছিলো কেন।

 

ঠিক আছে, তবে আমি...

 

- ...এখন উৎসাহিত না।
- জনাব ক্লিফোর্ড...জনাব ক্লিফোর্ড।

 

জনাব ক্লিফোর্ড, আপনার জন্যে আমার কাছে একটা গল্প (খবর) আছে।

 

পোকেমনরা মানুষের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে বলে গুজব শুনেছি আমি।

 

- কিন্তু এই ঘটনাটাকে তুলে ধরতে কেউই গুরুত্ব দেয়নি...
- আমি দুঃখিত।

 

আমরা কোনো আঞ্চলিক ছোটো সংবাদমাধ্যম না, যে এসব...

 

...গুজব, বানোয়াট, শোনা কথার ভিক্তিতে একটা সংবাদ বানিয়ে প্রচার করবো।

 

ঠিকভাবে যাচাই করা না পর্যন্ত, সেটা খবর হয়না।

 

তুমি গল্প (খবর) বানাতে চাইলে, প্রমাণ খু্ঁজো...

 

ওহ আরেকটা দামী পরামর্শ দিবো...

 

... সাজগোজের ব্যাপারেও একটু রুচিবোধ এনো।

 

এইতো সে আসছে, এইতো সে আসছে, গম্ভীর থাকার ভান করো।

 

তুমি এখানে কি করছো?

 

এই, আবারো দেখা হলো!

 

হ্যাঁ, আমি জানি এটা তোমার ব্যাক্তিগত কাজ, তবে আমার তোমাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করার ছিলো...

 

এখন সেটার উপযুক্ত সময় না।

 

হ্যাঁ, দেখতেই পাচ্ছি। আমি দুঃখিত।

 

দুঃখিত। এটা গরম হওয়ায় এমনটা হচ্ছে।

 

তুমি তোমার জন্যে পোকেমন সঙ্গী খুঁজে নিয়েছো?

 

- না ব্যাপারটা তেমন, না।
- ওহ, সে তো অনেক সুন্দর।

 

আচ্ছা, সে আমাকে মিষ্টিমিষ্টি কথা বলে পটানোর চেষ্টা করছে, বাছা। কিন্তু বিশ্বাস করো, আমিও পারি...

 

...ওহ আরকেয়াসের মিষ্টি মা, অনেক আরাম লাগছে রে। [আরকেয়াস, সম্পূর্ণ সাদা বর্ণের একটা, পোকেমন।]

 

- তো শুনো।
- হে ঈশ্বর! ওহ...

 

...কি হলো?

 

আমি হ্যারির ডেস্কের উপরে কিছু একটা পেয়েছি।

 

- আমি পুরো হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম, আর..
- না, না, এখানে না..

 

... আমার অফিসে৷

 

তাঁর অফিসে। আমরা তাঁর অফিসে যাচ্ছি।

 

এটা তো দারুণ...

 

এটা তাঁর অফিস নাকি, কোনো পেন্সিল ভর্তি কফিন।

 

- সাইডাক?
- হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছো, আমি ছেলেটার সাথে কথা বলতে পারি।

 

আর সেও আমার সাথে কথা বলতে পারে। আমরা একটা আশীর্বাদস্বরুপ।

 

তুমি আমাকে বলোনি কেন যে, তাঁর কাছে একটা সাইডাক আছে!

 

এরা সামান্য আতঙ্কিত হলেই ফেঁটে যায়।

 

এই, এই, শান্ত হও, ডাক। এখন নিশ্বাস নেও, নিশ্বাস নেও।

 

- না।
- ঠিক আছে।

 

- ঠিক আছে, এইযে এখানে সেগুলো।
- পেয়েছো?

 

তুমি এগুলো কোথায় পেয়েছো?

 

জানামতে, হ্যারির এই ভাঙ্গরির এখানে একজন ভাড়াটে গুপ্তচর ছিলো।

 

আমি সেখানে যেয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকি...

 

....আর সেখানেই আমি এই ঔষধের শিশিগুলো পেয়েছিলাম।

 

ভাঙ্গারিতে যাওয়াটাও কিন্তু ভয়ানক হতে পারে।

 

এটা এমন একটা জায়গা, যেখানে রাতে একা একা যাওয়াটা ঠিক হবে না।

 

আমার আসলে রাতে একা থাকতেই ভালো লাগে।

 

না, এই কথাটা বলা ঠিক হয়নি।

 

না, না মানে আমি সেটা বুঝাতে চাইনি, উম...

 

- ঠিক আছে।
- আমি এখন যাই...

 

...আমাদের যেতে হবে।

 

হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমাদের যেতে হবে।

 

ভালোই হলো। ওহ ঈশ্বর...

 

...তুমি কি এর আগে কখনো মেয়েদের সাথে কথা বলোনি?

 

সাইডাক...

 

হ্যাঁ, আমি মেয়েদের সাথে কথা বলেছি আর আমার তোমার সাহায্যের দরকার পড়বে না।

 

জন্মের সময় বলেছিলে নাকি...?

 

তুমি জানো, তোমার কি দরকার? তোমার কাঁধে একটা বসার আসন লাগবে। আমি বাজি রেখে বলতে পারি কেউ নিশ্চই সেগুলো বানায়।

 

ঠিক আছে, এছাড়া তো তোমার ঘুরে বেড়ানোর আর কোনো উপায় নেই। এটা লজ্জাজনক।

 

তোমার প্রতিটা কদম আমার আমার এক হাজার কদমের বরাবর, আর আমার ফুসফুস আঙ্গুরের মতো ছোটো।

 

আমাদের কিছু নিয়মমাফিক চলতে হবে, এই বন্ধুত্বটাকে টিকিয়ে রাখতে হলে।

 

- তুমি আমার বন্ধু না।
- পরামর্শদাতা, গুরুজন, শিক্ষক...

 

...এসবের মধ্যে যা মনে চায় ডাকো, আমার এতে কোনো আপত্তি নেই।

 

আর যদি এটা গ্যাসের জন্যে না হয়ে থাকে? যদি এটা বংশপরম্পরায় হয়ে থাকে, হ্যাঁ?

 

হয়তো হ্যারিও তোমার বিরক্তিকর কথাবার্তা বুঝতে পারতো।

 

আমাদের তোমাদেরকে বোঝার জন্যে, কথা বলার দরকার নেই....

 

...আমরা নিজে থেকেই অনুভব করতে পারি যে, তোমরা কি বলছো।

 

তোমাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হলে একটু খোলামেলাও হতে হবে। চেষ্টা করে দেখিয়ো।

 

হ্যাঁ, তা আর হওয়া লাগবে না, তোমার সাথে কথা বলতে বলতেই পেট ভরে যায়।

 

- ওটা কি?
- নিশ্চুপ, তবে মারাত্মক [দুর্গন্ধের কথা বলছে]।

 

দুঃখিত, ওসব কফি একসাথে খেয়ে আমার আসলে পেট খারাপ হয়ে গেছে।

 

না, ছিঃ, নামো!

 

আমি এটার কথা বলিনি।

 

ওহ ওটা...

 

ওটা মি. মাইম, তাঁরা খারাপ, নির্বাক, তবে অনেকটা বিরক্তিকর ।

 

সে কি তোমাকে চিনে? আমার মন হচ্ছে যে, সে তোমাকে চিনে।

 

আসলে আমি তো হ্যারির সঙ্গী ছিলাম, তাই তাঁর সাথেই এসেছিলাম হয়তো...

 

- ওহ, তো হ্যারির গুপ্তচর একটা পোকেমন!
- ওহ, তো হ্যারির গুপ্তচর একটা পোকেমন!

 

তাকে ধরো!

 

- সে তো একদমই নড়ছে না।
- তাকে সেটা বলিয়ো না!

 

ওহ, সে তো মোটর সাইকেলে চড়েছে।

 

সে মনে করছে যে সে চলে যাচ্ছে। জলদি তার সামনে গিয়ে দাঁড়াও। তাকে ফেলে দাও, তুমি এটা করতে পারবে।

 

থামো!

 

ওহ, সে জোরে আছাড় খেয়েছে, টিম।

 

তার হেলমেট পড়া উচিৎ ছিলো।

 

- আশা করি, সে বেঁচে যাবে।
- আরে, এটা তো বিচ্ছিরি ব্যাপার!

 

আমি ভালো পুলিশ, তুমি খারাপ পুলিশ।

 

- আমরা পুলিশ নই।
- তাহলে চলো জমি চাষ করি!

 

তুমি আমার থেকেও বড় আর কঠোর দেখতে, তাই সোজা হয়ে দাঁড়াও।

 

শুনো, তোমার মুখ খোলার উপায় আমাদের ভালোমতোই জানা আছে, তো মাইম ...

 

...আমরা যা জানতে চাচ্ছি তা বলে দাও।

 

হ্যারি গুডম্যান এখানে এসেছিলো কেন আর সে "আর" দিয়েই বা কি করেছে?

 

নল। হ্যাঁ, একটা শিশি।

 

ধাক্কাধাক্কি করছে, ঠেলছে...

 

সমস্যাটা হলো, আমি মানুষদের ধাক্কাই আর তারপর তাদের চলে যাওয়াটা পছন্দ করিনা।

 

সে বলছে যে, তুমি "এটা ধাক্কাও"

 

কি? আমি কি ধাক্কাবো?
ঠিক আছে, যথেষ্ট হয়েছে। না, আমরা ভূমিকা পাল্টাবো।

 

আমি হবো খারাপ পুলিশ, আর তুমি ভালো পুলিশ।

 

- না, আমরা পুলিশ নই।
- ওহ, ঈশ্বর, এটা অনেক শক্ত দেয়াল!

 

ওহ, হ্যাঁ, মি. মাইমের কাছে অদৃশ্য দেয়াল তৈরি করার ক্ষমতা আছে।

 

ওহ, হ্যাঁ, আমি সেটা জানি, আমিও তো একটা পোকেমনই, মনে আছে?

 

দেখো, হ্যারিও তো এই লোকটাকে কোনো না কোনোভাবে খুঁজে পেয়েছে।

 

আমার মনে হয়, কৌশলটা হচ্ছে, তার মাথায় ঢুকে যাওয়া।

 

আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে...

 

তুমি করছোটা কি?

 

এটা কি? ও ওখানে একটা দরজাও আছে? হয়তো আমি জানিনা, কারণ এটা অদৃশ্য।

 

ওহ, হ্যাঁ, আমি এখন তোমার জায়গায় ঢুকে পড়েছি, ঠিক আছে?

 

তোমার তো এটা পছন্দ না, তাইনা?

 

তুমি করছোটা কি?

 

এটা একটা জগ।

 

- না।
- লবণ। এটা একটা লবণদানি, তো তুমি রান্না করছো।

 

সত্যিকারের রান্না হচ্ছে নিজের মন থেকে বানানো, রেসিপি [নির্দেশনা] দেখে বানানো না!

 

- তুমি এসব কি বলছো?
- গ্যাস...

 

তুমি ওই গ্যাসটা ছড়িয়ে দিচ্ছো!

 

ওহ, এটা বেশ ভালোই করেছো, আমার পছন্দ হয়েছে, আমার এটা (বুদ্ধিটা) পছন্দ হয়েছে।

 

ঠিক আছে, ঠিক আছে।

 

ঠিক আছে, তুমি খেলতে চাও? তাহলে আমিও খেলাটা খেলবো।

 

তোমার কি মনে হয়, এখানে ইয়ারকি হচ্ছে? কি মনে হয়, আমি ইয়ারকি করছি, হ্যাঁ?

 

এখন খুব শীঘ্রই আমি হাসবো।

 

এখন কে হাসছে, হ্যাঁ?

 

ওহ, আমি ঘ্রাণ পাচ্ছি যে, তুমি কিসের মধ্যে আছি।

 

ঠিক আছে, মি. মাইম,

 

তুমি এখন মি. মেল্ট (গলে ছাই) হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমার মুখ খুলছো।

 

তাস, তাস, তাস খেলছিলো, পোকার...

 

না, আমার মনে হয় সে "আর" এর কথা বলছে।

 

কেউ "আর" নিয়ে পালাচ্ছিলো...

 

তোমার শারীরিক ভঙ্গিমা ব্যবহার করে দেখাও, কোথায়?

 

বৃত্তাকার, বাড়ি, চাঁদের বাড়ি, চাঁদের বাড়ি।

 

এসব ছেলেখেলা বন্ধ করো! শুধু বলো সেটা! কথা বলো গর্দভ মাইম কোথাকার!

 

ঠিক আছে, একটু শান্ত হও।

 

বৃত্তাকার, বৃত্তাকার বাড়ি,

 

"আর" এর সূত্রটা ওই বৃত্তাকার বাড়ি থেকেই এসেছে।

 

হ্যাঁ, এইতো সুন্দর কাজ করেছো, বাছা। মনে হচ্ছে তোমার মধ্যেও একটা গোয়েন্দা ভাব লুকিয়ে আছে।

 

সজোরে আঘাত করলো!

 

একটু অতিরিক্ত ব্যাথা পেলো!

 

আমি জানতাম না যে, রাইম শহরে পোকেমন লড়াইও হয়।

 

তোমার না জানারই কথা।

 

গেঙ্গার ডার্ক বল কৌশল ব্যবহার করলো।

 

চলো, আবার একটু ভেবে দেখি...

 

....ঠিক আছে, বাছা, তো আমরা এখন এতটুকু জানি,

 

হ্যারি "আর" এর পিছনে ছুটছিলো...

 

আর ঘনঘন একই জায়গায় আসছিলো, কারণ হয়তো, এখানে কেউ কিছু একটা জানে।

 

আমাদের শুধু ওই কেউ আর কিছু একটাকেই খুঁজে বের করতে হবে।

 

এই, এই, ওই পিকাচুটার সঙ্গী কোথায় গেলো? যেয়ো না!

 

আমার মনে হয়, কেউ আমাদের খুঁজে পেয়েছে।

 

বাহ, আমার এই ছেলেটার ইন্টারনেট (ব্রাউজারের) হিস্টোরি দেখতে ইচ্ছে করছে...

 

- তুমি কে?
- দেখা যাক এটা কতদূর যায়...

 

- তাকে বলো যে, আমি তোমার নতুন সঙ্গী।
- আমি তার নতুন সঙ্গী।

 

তাহলে, এটাই সে বিদুৎ বর্ষণ করা পিকাচু...

 

....ও গতবার আরেকটু হলে আমার চারিজার্ডটাকে মেরেই ফেলতো।

 

তার চেহারায়ও আচড় কেঁটে গেছে,

 

তারপর থেকে এখানে শুধু সমবেদনায় শুনি আর চারিদিকে দুধের বোঁটাই দেখি।

 

আর তুমি জানো?

 

সে আমার কোটটাও নষ্ট করে দিয়েছে, এইযে দেখো।

 

- আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
- কোর্টের কথা বাদ দাও, তাঁর শার্ট কোথায়?

 

এটা, এটা আমার এলাকা...

 

....আর কেউই আমার এলাকায় এসে,

 

আমার পোকেমনের সাথে এসব করার সাহস পায়না...

 

...তুমি এভাবে তাকিয়ে দেখছোটা কি? নাকি আমার কোটের দিকে?

 

হ্যাঁ, কোটটা।

 

কোটটা...
তুমি এটা কি করছো?

 

চোখের পলক নামানোর খেলা, বাছা। যে প্রথমে চোখের পাতা ফেলবে, সে হারবে।

 

- আমার মনোযোগা নষ্ট করো না।
- উহ, দেখো,

 

আমি শুধু জানতে চাই যে, তাঁর পুরানো সঙ্গী এখানে কেন এসেছিলো, ব্যাস এতটুকুই।

 

গেঙ্গার জিতে গেলো।

 

পরবর্তী লড়াইয়ের জন্যে প্রস্তুত।

 

আর আমি চাই একটা রিম্যাচ (ফিরতি লড়াই)।

 

তুমি আমাকে আমার রিম্যাচ (ফের লড়াই করার সুযোগ) দাও...

 

...তার পরিবর্তে তুমি যা জানতে চাও, আমি সেসব তোমাকে বলবো। যতটুকু আমি জানি।

 

তাকে বলো আমরা রাজি, আমিগো।
[আমিগো একটি স্প্যানিশ শব্দ, যার মানে "বন্ধু"।]

 

- ঠিক আছে।
- একটা নতুন লড়াই!

 

পিকাচু বনাম চারিজার্ড।

 

রিম্যাচ (ফিরতি লড়াই)!

 

এইযে, আমার টুপিটা ধরো।

 

- আমি এই জায়গাটাকে উৎসবমুখর করে দিতে যাচ্ছি।
- ঠিক আছে।

 

আমি শুধুু বিদুৎ নিয়ে একটু ব্যায়াম করছি, তুমি নিশ্চই কখনো এসব মুহূর্তে বিপদে পড়তে চাইবে না।

 

আমরা এই খেলাটা জিততে যাচ্ছি, ঠিক আছে?

 

তুমি কি করবে? তোমার আক্রমণের পরিকল্পনা কি?

 

আমি পরিকল্পনা মোতাবেক চলিনা, বাছান। আমি সোজা ময়দানে নেমে যাই, লড়াই করতে।

 

ঠিক আছে, এবার চলো৷

 

আমি অবশ্য,

 

আমি এসব অকর্মণ্যদের এর আগেও শায়েস্তা করেছি, তো আমি সেটাই আবার করবো।

 

আমাকে আমার টুপিটা ফেরত দাও!

 

ওই জিনিসটার মুল্য "আর" এর সমান।

 

তুমিই তো বলেছো যে, এটা ঠিক আছে?
তুমি না এসব আগেও করেছো?

 

তোমাকে শুধু নিজের শক্তিগুলো ব্যবহার করতে হবে। তুমি দ্রুত আক্রমণের কৌশল ব্যবহার করতে পারো,

 

বিদুৎচ্যুত বা বৈদ্যুতিক বোমা....

 

কিন্তু আমার মনে হয় ভোল্টে আক্রমণটাই তোমার সবচেয়ে ভালো কৌশল।

 

- তো সেটা দিয়েই শুরু করো।
- প্রথমত,

 

তুমি পোকেমন প্রশিক্ষক হওয়াটা কবে শিখলে?

 

দ্বিতীয়ত, আমাকে এখান থেকে বের করো!

 

শুরু করো!

 

দেখো!

 

তুমি যা যা বলেছো, আমি সব ভুলে গেছি।

 

আমি সব ভুলে যেতে থাকি, আমার স্মৃতিবিলোপের রোগ আছে।

 

তুমি যদি জোরালো আঘাত করতে চাও, তাহলে ভোল্ট আক্রমণ ব্যবহার করো।

 

ভোল্ট আক্রমণ করলে আমিই মরবো, আমি বিদুৎ বর্ষণ করতে যাচ্ছি।

 

চলো, তুমি পারবো, তুমি করতে পারবে!

 

চলো, চলো, চলো...

 

এই, বন্ধু, তুমি করছোটা কি?

 

মানুষ তাকিয়ে থাকা অবস্থায় আমি এটা করতে পারবো না৷

 

দয়া করে, সবাই একটু অন্যদিকে তাকাবেন?

 

এটা কাজ করছে না৷

 

আমি নিজের শক্তি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা ভুলে গেছি।

 

কিন্তু সে ভুলেনি৷

 

পিকাচু, দৌড়াও!

 

এক আঘাতেই খেলা শেষ!

 

এই, পিকাচু তুমি কাঁদবে নাকি?

 

তুমি এটা করতে পারো না।

 

আমি তো দেখতে সুন্দর।

 

পিকা-পিকা!

 

তুমি কি পাগল নাকি? বের হও ওখান থেকে!

 

বুঝতে পেরেছি, বাছা।

 

তুমি আমার বাবুটার সাথে এ কি করছো!

 

সামনে থেকে সরো!

 

ওহ, ওহ, এটা করা মোটেও ঠিক হয়নি।

 

- তুমি এটা কি করছো?
- আমাকে বলো যে তুমি কি জানো!

 

যার খোঁজ তোমরা করছো, সে এই "আর" এর উৎসটা জানতে চেয়েছিলো।

 

এটা শুধু ডাক্তারের কাছ থেকে আসে, আমি এতটুকুই জানি।

 

এখন আমাকে যেতে দাও।

 

সুন্দরভাবে ধরেছো, বাছা। চলো এবার যাই এখান থেকে।

 

আমার কাছে একটা পরিকল্পনা আছে।

 

দেখো, এটা কাজ করবে না। ম্যাগীকার্প সবচেয়ে বাজে পোকমন...

 

ম্যাগীকার্পরা গেয়ারাডোসে রুপান্তরিত হতে পারে, তাদের শুধু একটু ধাক্কার প্রয়োজন।

 

ফোঁকা থেকে পানি বের হবে!

 

আমি মনে মনে, এটা অন্যভাবে কল্পনা করেছিলাম।

 

এই, টিম, আমি ভেসে যাবোনা।

 

আমি তোমাকে বলেছিলাম না যে, ম্যাগীকার্পরা অপকারী না।

 

তোমাকে গ্রেফতার করা হলো।

 

আমি ভেবেছিলাম যে, তুমি বাড়িতে যাওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে পারছোনা।

 

হ্যাঁ, আসলে আমার পরিকল্পনায় পরিবর্তন এসেছে, কারণ আমি তাকে পেয়ে গেছি...

 

- আমি এটা অনুসরণ করছি না।
- হ্যারি মারা যায়নি।

 

যেহেতু উনার পোকেমন সঙ্গী এখনো জীবিত, তাঁর মানে উনিও জীবিত।

 

- এটা কোনোকিছুই প্রমাণ করে না, বাবা।
- তাকে ওই "আর" রাসয়নিক পদার্থটার কথা বলো।

 

এক মিনিট সময় দেন৷ হ্যারির শেষ মামলাটাও এসব গোপন অবৈধ লড়াইয়ের ব্যাপারেই ছিলো।

 

এজন্য তিনি ওখানে গিয়েছিলেন। সেখানে একটা রাসয়নিক তরল পদার্থ...

 

- আমরা তদন্ত চালিয়েছিলাম...
- হ্যারি সেটার সন্ধান খু্ঁজে পেয়েছিলো...

 

-... আর সেটার এখন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে!
-... আর এজন্যেই তিনি বিপদে পড়েছিলেন।

 

তদন্তটা পুনরায় চালু করুন, তিনি ওখানেই আছেন, আমি সেটা অনুভব করতে পারছি....

 

-... তোমার জেলির (মনের) মধ্যে, চলো বলো এটা৷
- আমি এটা বলবো না।

 

আমি এটা অনুভব পারছি, লিউটেন্যান্ট, আমার হাঁড়ের মধ্যে।

 

- এটা অতটা ভালো না।
- থামো।

 

ওহ, হ্যাঁ আর আমি... পিকাচুর কথাও বুঝতে পারি, আমরা দুজনে একদম ভালোই আছি।

 

টিম...

 

...এই মৃত্যুর কষ্টটাকে সহ্য করা কঠিন।

 

- কিন্তু এটাকে অস্বীকার করলে ..
- না, আমি অস্বীকার করছিনা!

 

আমি জানি যে, আমি সঠিক। তিনি, তিনি ওখানেই আছেন।

 

আমি কখনোই এটা তোমাকে দেখাতে চাইনি,

 

কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যে, এটা দেখা তোমার জন্যে জরুরী।

 

কেউই এরকম বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যেতে পারেনা...

 

...তোমার বাবাও না।

 

সে মারা গেছে, টিম।

 

আমার ট্রেনে উঠে যাওয়া উচিৎ ছিলো...

 

এসব কি বলছো, বাছা?

 

আমার মা মারা যাবার পর...

 

...আমার আর বাবা সম্পর্কটা নষ্ট হতে থাকে।

 

তিনি এখানে এসে পড়েন আর...

 

...উনার কাজ মনোনিবেশ করেন।

 

আসলে, উনিও আমাকে উনার সাথে থাকতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন...

 

...আমিই যাইনি।

 

সেটা কেন?

 

আমার মনে হতো না যে, উনি আমার পরোয়া করতেন।

 

হয়তো, উনাকে ছাড়া থাকাটা আমার অভ্যাস হয় গিয়েছিলো...

 

...উনি পাশে না থাকায় আর,

 

সেজন্যে আমি উনাকে ক্ষমা করতে পারিনি...

 

যতক্ষণ পর্যন্ত না এখানে আসলাম, আর...

 

...এসব দেখে বুঝলাম যে, উনি আসলেই আমার পরোয়া করতেন৷

 

কিন্তু আমি তো এসব জানতাম না,

 

কারণ আমি কখনোই উনাকে একটা সুযোগও দেইনি...

 

...আর এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।

 

আমার আসলে...

 

আমার উচিৎ ছিলো, ওই ট্রেনটায় উঠে যাওয়া।

 

শুনো, বাছা,

 

মানে, আমার তো এখন স্মৃতিশক্তি নেই।

 

কিন্তু আমি এতটুকু জানি যে,

 

এতে তোমার কোনো দোষ নেই।

 

এতে কারোরই কোনো দোষ নেই...

 

আর আমি নিশ্চিত যে, তোমার বাবা যদি আজ এখানে থাকতো,

 

তিনি তোমাকে এতটা জোরে জড়িয়ে ধরতেন যে, তোমার হাঁড়গুলোও ফটফট (আকস্মিক শব্দ) করে উঠতো...

 

আর তিনি তোমাকে বলতেন যে, উনি এসবের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।

 

তিনি তোমার উপর অনেক গর্বিত হতেন, বাছা।

 

আমি তোমার সাথেও ভালো ব্যবহার করিনি...

 

না, তুমি আসলেই করোনি।

 

তাহলে...

 

আমাদের এখন আর একটা রহস্য উন্মোচন করতে হবে।

 

- কি?
- তোমার।

 

তোমার সাথে এসব কে করেছে, চলো তা খুঁজে বের করি...

 

-... আর তোমার স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে আনি।
- আমিও সেটাই করতে চাইবো।

 

আমি সেটা করাটাই অনেক পছন্দ করবো।

 

আসলে এটা একটা খারাপ লোকের গাড়ি।

 

ধন্যবাদ, মিস নরম্যান।

 

হ্যাঁ, ধন্যবাদ, মিস নরম্যান। এতটুকুই জানাতে পারি।

 

সে কতটা গোমড়ামুখো!

 

দয়া করে, ভেতরে আসো।

 

চমৎকার জীব, তাইনা?

 

ওহ, একটা ফ্ল্যারেয়ন।

 

কল্পনা করো কেমন লাগে বিকশিত হতে...

 

.... যতটা সম্ভব নিজের সবচেয়ে বেশী ভালো সংস্করণে।

 

তোমার ভেতরে থাকা মহত্ত্বটা,

 

জেগে উঠার জন্যে ব্যাকুল হয়ে আছে৷

 

- হ্যালো, টিম।
- উনি তোমাকে চিনেন?

 

আমি দেখলাম তুমি হ্যারির পিকাচুটাকে নিজের সঙ্গী বানিয়েছো...

 

- আর সে আমাকে চিনেও।
- আপনি হ্যারিকে চিনতেন?

 

হ্যারি যে মামলাটার উপর তদন্ত করছিলো...

 

-... সেটা সে আমার জন্যেই করছিলো।
- এইযে পেঁচ লেগে গেলো। এটা আরো পেঁচিয়ে যাচ্ছে।

 

আমি যা বানিয়েছি সে সবকিছুই এখন ঝুঁকির মধ্যে আছে।

 

সে "আর" সমন্ধে জানে। সে "আর" সমন্ধে কিভাবে জানে?

 

আমিই হ্যারিকে ভাড়া করেছিলাম এটার উৎসের সন্ধান করতে,

 

কল্পনা করো আমি কতটা হতভম্ব হয়েছিলাম, যখন উত্তরটা...

 

...আমাকে আমার ছেলের দিকেই ইশারা করছিলো।

 

আমি আমার পুরো জীবনটাকে বিলিয়ে দিয়েছি...

 

...পোকেমন আর মানুষের মধ্যকার বন্ধুত্বের বন্ধন তৈরি করাতে,

 

এমন একটা বন্ধুত্বের বন্ধন যেটা আমাদের জন্যই মঙ্গলজনক হবে...

 

আর সেটা করতেই গিয়েই, আমি অবহেলা করে গেছি,

 

আমার একজন অভিভাবক হবার দায়িত্ববোধটাকে।

 

রজার, পোকেমনদের ঘৃণা করে।

 

আমার মনে হয়, সে এতদিন আমার ছায়াতলে থেকে,

 

সে আসলে আমার সম্পত্তিগুলোকে বিনষ্ট করতে চেয়েছে।

 

আসলে, সব বাবা ই কোনো না কোনো সমস্যায় আছে।

 

কিন্তু জনাব ক্লিফোর্ড, আপনি তাকে এটা করতেই বা দিলেন কেন?

 

আমার অসুস্থতা যখন আমাকে এই চেয়ারে বসতে বাধ্য করলো,

 

রজার তখন এই কোম্পানির উপর তাঁর আধিপত্য বাড়াতেই লাগলো...

 

...সে ই বোর্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে, পুলিশ আর নেতাকর্মীরাও তাঁর নিয়ন্ত্রণে আছে,

 

আর সে সংবাদমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করে।

 

হ্যারিই একমাত্র ব্যাক্তি যাকে আমি বিশ্বাস করতে পারি,

 

...এজন্যেই তোমার হ্যারিকে খুঁজতে হবে।

 

আপনি খবর পাননি যে, হ্যারি মারা গিয়েছেন।

 

ওহ না, টিম।

 

তোমার বাবা বেঁচে আছেন।

 

এটা দেখো, টিম

 

উন্নত হলোগ্রাফিক প্রতিচ্ছবি।

 

এই চেয়ারের মাঝে সীমাবদ্ধ হবার পর,

 

আমি এ দুনিয়াটাকে কাছে থেকে দেখার জন্যে অনেক কিছুই বিনিয়োগ করেছি।

 

এটা সেই পুলিশ ফুটেজ থেকেই পুনরুৎপাদন করা হয়েছে,

 

এটা আমাদের এমনসব জিনিস দেখাতে পারে, যেটা তারাও দেখেনি...

 

-....বা সেসবও দেখায়, যা তারা চায়না যে আমরা দেখি।

 

সে বেঁচে আছে।

 

- পিকা...
- এটা আমিই,

 

- আমি দুর্ঘটনার সময় হ্যারির সাথেই ছিলাম।
- উনার আমার সাহায্যের লাগবে।

 

যদি হ্যারি জীবিতই থাকেন, তাহলে উনাকে তাঁরা (পুলিশেরা) খুঁজে পায়নি কেন?

 

- এটা আবার কি?
- মিউটু।

 

একটা মানবসৃষ্ট হিংস্র জন্তু,

 

যেটাকে ডি.এন.এ দ্বারা কৃত্রিমভাবে ল্যাবরেটরিতে বানানো হয়েছে....

 

....প্রাচীন মিউ এর জীবাশ্ম থেকে।

 

আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা...

 

যদি ওই জিনিসটা মিউটুর দ্বারা ঘটে থাকে,

 

তাহলে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পোকেমনটাকে খুঁজছি।

 

এইতো! আমার সাথে এটাই ঘটেছিলো।

 

মিউটুই আমার স্মৃতিশক্তি মুছে দেয়।

 

কিন্তু কেন?

 

দাঁড়াও, দাঁড়াও, দাঁড়াও!

 

- দাঁড়ান, সে উনাকে কোথায় নিয়ে গেছে?
- সেটাই তো তোমাকে খুঁজে বের করতে হবে।

 

মিউটুকে খুঁজে বের করো আর তুমি তোমার বাবাকেও পেয়ে যাবে।

 

দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়াটাও একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার, বাছা।

 

এই মামলাটার নিষ্পত্তি করতে পারলে, আমরা অনেক কিছুই ঠিক করে দিতে পারবো।

 

শুধু একটাই প্রশ্ন থেকে যায়, আমরা কোথায় যাচ্ছি?

 

আমি জানি না, আমি তো শুধু হেঁটে যাচ্ছি, কোথায় যেতে হবে তা তো তোমারই জানার কথা, গোয়েন্দা তো তুমি৷

 

ঠিক আছে, যদি এসবের পিছনে রজার ক্লিফোর্ডের হাত থাকে,

 

তাহলে আমাদের এমন কাউকে খু্ঁজতে হবে যে, তাঁর নাগালে আছে।

 

আর আমরা উভয়ই জানি যে, সেটা কে।

 

- প্রেমিক ছেলে।
- চলো, ঠিক আছে, আবার এসব বলা শুরু করে দিয়ো না।

 

- ওইযে সে এসে গেছে।
- চশমা পড়ে এসেছে কেন?

 

সে কি আমাদের দেখতে পাচ্ছে? আমার তো মনে হয়না যে, সে আমাদের দেখতে পাচ্ছে।

 

- এই, আসার জন্যে ধন্যবাদ।
- আমার সাথে কথা বলো না।

 

ঠিক আছে।

 

- এখন কি হবে?
- স্বাভাবিক থাকার ভান করো,

 

কিন্তু আমার দিকে তাকিয়ো না।

 

এখানে তো কোনোকিছুই অস্বাভাবিক না।

 

এটা দেখো।

 

আমি দুঃখিত।

 

- আমারই ভুল।
- দুঃখিত....আমি দুঃখিত।

 

- ওহ, ভালোই কাজে করছো, তুমি এখানে এসে বসো না?
- তুমি কি একটু আমাদের সাথে এসে বসবে?

 

আমার তোমাকে উৎসাহিত করা উচিৎ হয়নি, এছাড়া তোমার অন্য কোনো উপায়ও নেই।

 

- আমি রজারের কম্পিউটারে অনুপ্রবেশ করেছিলাম।
- ওহ, বাহ, সেটা কীভাবে করলে?

 

- তাঁর ল্যাপটপে ক্যাপাচিনো [এক ধরনের কফি] ফেলে দিয়ে।
- এটা অনেকটা কফি অপচয় করার মতো ব্যাপার।

 

তো আমি তার ব্যাপারে সব তথ্যাদি খোঁজাখুঁজি করলাম, এ অঞ্চলে থাকা তার সম্পত্তিগুলোর দিকে তাক করলাম,

 

আর হিসাবনিকাশ করে শহরের তথ্যাদির সাথেও মিলিয়ে দেখেছি যে, ক্লিফোর্ডের অন্য কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আছে কিনা..

 

যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা পেলাম,

 

তো এটা হচ্ছে, "পি.সি.এল"।

 

পোকেমন প্রজননবিষয়ক একটা গবেষণা সংস্থা।

 

- তবে শুধু এতটুকুই না...
- সে ভালো কাজ করেছে।

 

গতসপ্তাহে, পিএসএলে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিলো...

 

...আর সেজন্যে পুরো গবেষণা সংস্থাটাকেই বন্ধ করে দিতে হয়।

 

এটা যে রাতে ঘটেছে, সেদিনই হ্যারিও নিখোঁজ হয়েছিলো।

 

কেউই জানেনা যে, কি ঘটেছিলো। সব সংবাদমাধ্যমেই এ ব্যাপারে কিছু নেই।

 

এসবের মানে কি? তা আমি জানি না।

 

ব্যাপরটা অনেক উত্তেজনাপূর্ণ, তুমিও কি উত্তেজিত?

 

- হ্যাঁ।
- আমার মনে হয় ভয়ের চোটে তাঁর হালকা প্রস্রাবও এসে গেছে।

 

- তো...
- না, না, এটা তো আমিই। এটা তো আমিই করেছি।

 

তো, উম, সেখানে কিছু লুকানো আছে,

 

কিন্তু...

 

....তাঁরা কি সেখানে লুকিয়েছে?

 

চলো যেয়ে নিজেরাই সেটা খুঁজে বের করি, কি বলো?

 

তো, আমাকে ব্যাপারটা বুঝতে দাও। আমাদের বাধ্য হয়ে এই....

 

...এই এস.পি.গানটা শুনতে হচ্ছে, যেনো তুমি তোমার মাথাটা ফাঁটিয়ে...

 

-... আমাদের সবাইকে মেরে না ফেলো?
- সাইডাক।

 

তোমার পিকাচুটা, একটু অস্বাভাবিক রকমের।

 

- সাইডাক?
- এই, ওটা নিচে নামাও...

 

-... আমি তোমার পা টিপতে (ম্যাসেজ করতে) পারবো না!
- সাইডাক।

 

আমি কখনোই শুনিনি যে পোকেমনরাও টুপি পড়ে৷

 

হ্যাঁ, সে একটু অদ্ভুত। সে অনেকটাই অদ্ভুত।

 

অবশ্যই, আমি আমার সঙ্গীর জীবন নিয়ে পরোয়া করি।

 

আচ্ছা, আচ্ছা, হাতে দাও এটা।

 

তুমি কি করছো?

 

কি?

 

কিছুনা, আমি শুধু ভাবছিলাম যে উনি আসলে কে?

 

উনি পি.সি.এল এর প্রধান গবেষক, ডক্টর এন লউরেন্ট।

 

আমি বাজি রেখে বলতে পারি যে, খালি গায়ে থাকা লোকটা (চারিজর্ড এর মালিক) এর কথাই বলছিলো।

 

সে পোকেমনের উপর একটা পরীক্ষা চালাতে গিয়ে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরীটা হারায়...

 

কারণ সে তাদের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলো,

 

তিনি পোকেমন বিষয়ক একজন গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুবিদ।

 

এই ডাক্তারটা হয়তো একটা মানসিক চাপকে সহ্য করে যেতে পারতো দীর্ঘ সময় ধরে...

 

...গাড়িতে বাচ্চাদের সিটে, একটা বোমার পাশে বসে থেকে।

 

এইযে এসে গেছে।

 

সংকেতগুলোর দিকে একবার তাকাও।

 

এখানে হয়তো অনেক বাজে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে...

 

বা, তাঁরা তোমাকে তেমনটাই বিশ্বাস করাতে চায়।

 

এ নাটকটা যারাই সাজিয়েছে, তাঁরা অসাধারণ কাজ করেছে, ওই সংকেতগুলো ভীতু কাকতাড়ুয়াদের জন্যে একদম নিঁখুত।

 

- আচ্ছা, তবে এগুলো তো আমাকেও ভয় পাওয়াচ্ছে।
- সাইডাক।

 

বাছাধন, এই মহিলাটা বিপদের সন্ধানেই এসেছে...

 

তুমি তাঁর মন জয় করতে চাইলে, তাকে নেতৃত্ব দিয়ে সেখানে নিয়ে যাও।

 

ঠিক আছে, প্রথমত মেয়েরা তাদের মহিলা বলে ডাকাটা পছন্দ করেনা।

 

দ্বিতীয়ত, মেয়েরা শান্তশিষ্টভাবে, ঠান্ডা মাথায়,

 

আর ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়াটা পছন্দ করে....
সে করছেটা কি?

 

এই, এই, এই, এই!

 

এই, লুছি, তুমি এটা কি করছো?

 

আমি জালটা কাঁটছি যেনো আমরা ভেতরে ঢুকতে পারি।

 

না....তুমি এগুলো কোথায় পেলে?

 

- ওহ, সেটা চিন্তা করে লাভ নেই।
- আপনি আগে যান, মহাশয়।

 

- সাইডাক।
- না? ঠিক আছে, তাহলে আমিই আগে যাচ্ছি...

 

- যাই হোক, ওই একই কথা।
- সাইডাক।

 

সাইডাক, সাইডাক।

 

ঠিক আছে। তুমি চাইলে এখানেই থাকতে পারো।

 

আমার স্মৃতিশক্তি হারিয়েছে কিন্তু,

 

...আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, এটা সবচেয়ে বাজে একটা পরিকল্পনা!

 

ওটা কি?

 

আমি সঠিক জানি না।

 

সাইডাক!

 

এটা গ্রেনিঞ্জা। এদের ভালো দেখাচ্ছে না।

 

পরীক্ষা নং ২২, শক্তির বৃদ্ধি?

 

তাঁরা এখানে ওদের উপরে গবেষণা চালাচ্ছিলো।

 

কেন? যদি এসবের পিছনে রজার ক্লিফোর্ডের হাত থেকে থাকে,

 

সে এখানে পোকেমনদের উপর গবেষণা চালাচ্ছিলো নাকি?

 

টরটেরা'র, বাগান। [টরটেরা, একধরনের দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদজাতীয় পোকেমন।]

 

পোকেমন বিকাশ পরীক্ষা নং ৩৩: দৈহিক বৃদ্ধি।

 

তাদের তো আমার কাছে স্বাভাবিক আকারেরই মনে হচ্ছে।

 

হয়তো প্রক্রিয়াটা এখনো শুরু হয়নি, সেজন্যে।

 

মনে হচ্ছে তারা পোকেমনের বিকাশকে নিজেদের ইচ্ছেমতো কমাচ্ছে-বাড়াচ্ছে।

 

সেটা করা কি সম্ভব?

 

আমি জানি না।

 

আমাকে এগুলোর সবকিছুর প্রামাণ্যচিত্র ধারণ করতে হবে।

 

তুমি সামনে এগিয়ে যাও, আমি আসছি।

 

- তুমি নিশ্চিত তো?
- হ্যাঁ।

 

এখানে কি হয়েছিলো?

 

বাজে কিছু। ভীষণ বাজে কিছু ঘটেছিলো।

 

তোমার এখনো মনে হচ্ছে যে, এসব সাজানো নাটক?

 

এই, বাছা, এদিকে আসো।

 

এখানে লেখা এটা ডক্টর. লউরেনের স্টেশন।

 

দেখে মনে হচ্ছে এটা এখনো কাজ করছে।

 

রিমোটচালিত নিয়ন্ত্রণের অনুমোদন গ্রহণ করে হলো।

 

সাইডাক।

 

মনে হচ্ছে সবগুলো ফাইলই বোঝাই করা।

 

এটাও ওই হোলোগ্রামের মতোই না?

 

৪২ তম দিন।

 

অনেক চেষ্টা আর ব্যর্থতার পর,

 

আমরা একটু নিঁখুত যথোপযোগী পদ্ধতি পেলাম,

 

মিউটুর ডি.এন.এ বের করার।

 

এ হতে পারে না, এটাই তো মিউটু।

 

দাঁড়াও, মিউটু কি তাহলে এখান থেকেই এসেছে?

 

৬০ তম দিন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার চেষ্টাটা সফল প্রমাণিত হয়েছে।

 

শ্বসনযন্ত্রের পরীক্ষাগুলোর ফলাফল নিয়ে দ্বিধা হচ্ছে,

 

আর তাঁর স্বাধীন মনোভবের জন্যেই কোনো ক্ষতি যেনো না হয়,

 

যেনো পোকেমনটা একসময় হিংস্র হয়ে উঠে...

 

সেজন্যেই আমরা এই "আর" নামক রাসয়নিক তরল পদার্থটা তৈরি করি।

 

তাঁরা "আর" বানাতে মিউটুকেও ব্যবহার করছিলো...

 

আর তাঁরা এগুলোকে পোকেমনদের লড়াইয়ের মাধ্যমে, পরীক্ষা করছিলো।

 

৬৮ তম দিন।

 

স্নাবীয় সংযোগস্থল সংক্রিয় হয়েছে।

 

সতর্ক বার্তাঃ অবস্থা লাল!

 

সতর্কতা! সতর্কতা! সতর্কতা!

 

না! না! না!

 

আমরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কক্ষে বৈদ্যুতিক সংযোগ হারাচ্ছি!

 

এভাবেই হয়তো মিউটু পালিয়ে গিয়েছে।

 

এবার আমরা একটা পাকাপোক্ত সূত্রের সন্ধান পেলাম।

 

- কিন্তু এই জিনিসটা হ্যারির কাছেই বা কি চাচ্ছিলো?
- সুন্দর প্রশ্ন, বাছা।

 

আমি সবকিছু টেনে আবার প্রথম থেকে দেখানোর চেষ্টা করি।

 

প্রথম দিন, গবেষণাগারটা একদম প্রস্তুত ছিলো।

 

এখন শুধু বাকি ছিলো,

 

... দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী পোকেমনটাকে ধরে আনার।

 

মিউটু৷

 

এটা আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগেই, কান্তো অঞ্চল থেকে পালিয়ে যায়।

 

ভাগ্যভালো, আমি এটাকে ধরতে একজন অভিজ্ঞ ব্যাক্তিকে নিয়োগ করেছি।

 

শুভকামনা রইলো, গোয়েন্দা, গুডম্যান।

 

এজন্যই মিউটু হ্যারিকে নিয়ে গিয়েছে...

 

...তাকে ধরার জন্যে প্রতিশোধ নিতে।

 

এটার কোনো মানেই হয়না!

 

- হ্যারি, কখনোই এসব কাজ করতে যাবেনা!
- আমিও সেটাই বিশ্বাস করি, বাছা।

 

আমাদের এখন সৎ হতে হবে, তুমি তাকে অনেক বছর ধরে দেখোনি আর আমি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছি,

 

আমাদের দুজনের একজনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারবো না যে, হ্যারি কি এটা করেছে নাকি করেনি।

 

আমাদের শহরে ফিরে যেতে হবে।

 

লুছি!
লুছি!

 

আমাদের শহরে ফিরে যেতে...

 

লুছি?

 

লুছি?

 

ওটা তো এর আগে ওখানে ছিলো না, বাছা।

 

এউউ!

 

বাছা, আগুন লাগার এলার্মটা বাজাও!

 

সাইডাক!

 

চলো! চলো যাও! চলো যাও! চলো যাও!

 

- পিছিয়ে যাও।
- সাইডাক!

 

সাইডাক। সাইডাক।

 

নিচু হও!

 

সাইডাক।

 

দৌড়াও!

 

সাইডাক! সাইডাক! সাইডাক!
সাইডাক! সাইডাক! সাইডাক!

 

সাইডাক! সাইডাক! সাইডাক!
সাইডাক! সাইডাক! সাইডাক!

 

সাইডাক! সাইডাক! সাইডাক!

 

- সাইডাক!
- ঠিক আছ, ঠিক আছে, সাইডাক! মানে, সবই ঠিকঠাক আছে।

 

সে এবার তাঁর মাথা ফাঁটাতে যাচ্ছে, বাছা।

 

সব ঠিক আছে, সাইডাক। সব ঠিকই আছে!

 

সাইডাক!

 

এটা তোমার ফালতু মাথাব্যথা হবার সময় না।

 

না, দাঁড়াও, দাঁড়াও,

 

এটাই তো মাথাব্যথা হবার জন্যে একদম সঠিক সময়।

 

- সাইডাক।
- আমি তোমার পা ঘষতে (টিপতে) ঘৃণা লাগছিলো!

 

সাইডাক, সাইডাক!

 

আমি আমার এ দু'হাতগুলো দিয়ে যা করেছি তা কখনোই ভুলবো না।

 

এখন তো মাথাটাকে ফাঁটারে, প্রতিবন্ধী ডাক!

 

- ফাঁটা! ফাঁটা!
- সাইডাক!

 

- সাইডাক!
- ফাঁটা!

 

- সাই...ডাক।
- ভালো কাজ করেছো, সাইডাক।

 

আমার টুপিটা কোথায়?

 

কিছু তো একটা সমস্যা হয়েছে।

 

এটা সত্যিসত্যিই ঘটছে না।

 

চিন্তা করিয়ো না।

 

সাইডাকের ফাঁটার বিষাক্ত ধোঁয়া মাথায় ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি করেছে,

 

এসবের কোনোকিছুই আসল না।

 

এ সবকিছুই আসল! দৌড়াও!

 

কি হচ্ছে এসব?

 

আমরা নিচের দিকে পড়ে যাচ্ছি!

 

এই মুহূর্তে....

 

...তুমি প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বিশ্বাস না করে থাকবে কীভাবে?

 

না!

 

ধরে নিয়েছি তোমাকে।

 

টিম!

 

দৌড়াও!

 

যাও! যাও! যাও!

 

যাও! যাও!

 

আমরা এটা করতে পেরেছি।

 

আমি এখন স্বঘোষিতভাবে বনজঙ্গলকে ঘৃণা করি।

 

টিম!

 

- লুছি!
- টিম!

 

পর্বতের চূড়াগুলো কাছে আসছে...

 

আমাদের কিছু একটা করতে হবে আর সেটা খুব জলদিই করতে হবে।

 

- আমি ঝাঁপ দিতে যাচ্ছি।
- ভালো উপায় হিসেবে এটাকে পঞ্চম স্থানে রাখবো,

 

- চলো এবার প্রথম চারটা উপায়ের কথা ভাবি।
- তুমি এটা করতে পারবে না!

 

- আর কোনো উপায় নেই।
- আমাদের কাছে অনেক উপায়ই আছে,

 

...একমাত্র নিচে যাওয়াটাই সেগুলোর মধ্যে পড়ে না।

 

চলো!

 

কখনো ভাবিনি...

 

আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তোবা....

 

চোখ, চোখ...

 

- অক্ষিগোলক।
- অক্ষিগোলক।

 

অক্ষিগোলক!

 

বুঝতে পেরেছি!

 

আমি এখন বুঝতে পেরেছি, এটা মোটেই কোনো জঙ্গল নয়...

 

এটা একটা টরটেরার বাগান!

 

পিকাচু!

 

সে ঠিকই আছে!

 

- সে ঠিক আছে, তো?
- আমার অবস্থা খারাপ, বাছা।

 

আমি তোমার সঙ্গী, আমি এখানেই আছি।

 

তুমি কি এইমাত্রই আমাকে সঙ্গী ডাকলে?

 

হ্যাঁ, অবশ্যই! তুমি আমার সঙ্গী।

 

ওহ, ঠিক আছে তাহলে, আমি তোমার সঙ্গী....

 

আমি তোমার পাশে আছি।

 

এই!

 

এই!

 

বন্ধু!

 

এই!

 

পিকাচু!

 

পিকাচু!

 

না।

 

এই! এই!

 

সাহায্য করো!
দয়া করে!

 

দয়া করে!

 

সে আহত!

 

দয়া করে!

 

সে বুঝতে পারছেনা যে, তুমি কি বলছো।

 

কিন্তু সে আমার অনুভূতি বুঝতে পারছে।

 

আমার পিকাচুকে একটা উপশমক পোকেমনের কাছে নিয়ে যেতে হবে...

 

...;দয়া করে।

 

আমি তোমার কাছে অনুরোধ করছি।

 

আমি তাকে হারাতে চাইনা।

 

ঠিক আছে।

 

টিম, দেখো...

 

ঠিক আছে।

 

আমি তোমার জন্যে গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছি।

 

তুমি ঠিক হয়ে যাবে, সঙ্গী।

 

এখানে?

 

দাঁড়াও! দাঁড়াও!
তোমরা কোথায় যাচ্ছো?

 

এখানে আমি কি করবো?

 

আমি তোমার জন্যেই অপেক্ষা করছিলাম।

 

মিউটু৷

 

না! না!
দাঁড়াও!

 

আমি এখন কোথায় আছি?

 

তুমি ঠিক হয়ে গেছো!

 

হ্যাঁ, আমি...কোনোমতে ঠিক হয়ে গেছি!

 

আমাদের চুক্তি মোতাবেক, তুমি তোমার ছেলেকে নিয়ে এসেছো।

 

- সে কিসের ব্যাপারে কথা বলছে?
- আমি জানি না, বাছা, আমিও তোমার মতোই এই গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছি...

 

আমার বাবা কোথায়?

 

তুমি উনার সাথে কি করেছো?

 

সতর্কতা সংকেত!

 

আমরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কক্ষে বৈদ্যুতিক সংযোগ হারাচ্ছি!

 

তুমি ভালো কাজ করেছো।

 

মানবজাতি খারাপ।

 

আমি সবসময়ই পোকেমনদের বিশ্বাস করে এসেছি...

 

না!

 

দাঁড়াও, দাঁড়াও, দাঁড়াও। পিকাচু, দাঁড়াও।

 

এই! আস্তে হাঁটো, আমাদের এ ব্যাপারে কথা বলতে হবে।

 

তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাও।

 

কি? তুমি এসব কি বলছো?
রজারের কাছে মিউটু আছে...

 

...মিউটুর কাছে আমার বাবা আছে। আমাদের হাতে এখন সময় কম, মামলাটাকে সমাধান করতে হবে।

 

আমরা ইতোমধ্যেই আমারটার সমাধান করে ফেলেছি। আমি জানি যে, আমি কে...

 

আমিই সে যে, হ্যারিকে ধোঁকা দিয়েছিলো।

 

আমরা তো সেটার ব্যাপারে ভালোমতো জানিনা।

 

আমরা উভয়েই দেখেছি যে, আমি তোমার বাবাকে ধোঁকা দিয়েছি।

 

তাঁর মানে...

 

-... আমি তোমাকেও ধোঁকা দিতে পারি।
- তুমি সেটা করবেনা।

 

আমি যা দেখেছি সেটার পরোয়া করি না, আমি জানি যে তুমি কে...

 

- তুমি কীভাবে জানো?
- কারণ আমি...

 

-.. সেটা আমি নিজের জেলিতে অনুভব করতে পারছি।
- আমিই সেটা বানিয়েছিলাম।

 

- জেলি বলতে কিছু নেই। আমিও নেই।
- আমি তা বিশ্বাস করি না।

 

- তুমি নিজের রাস্তায় গেলেই ভালো হবে।
- আরে, পিকাচু...

 

- আমার তোমাকে প্রয়োজন, দয়া করো।
- না, আমার থেকে যত দূরে থাকবে, সেটা তোমার জন্যেই তত ভালো হবে।

 

না, আমি তোমাকে যেতে দিবোনা।

 

দেখলে?

 

আমি সাহায্য করতে পারিনা, যাদের আমাকে প্র‍য়োজন আমি তাদেরই ক্ষতি করে বসি...

 

...এটাই আমি।

 

আমি দুঃখিত।

 

আমি দুঃখিত।

 

টিম।

 

সে কোথায় যাচ্ছে? কি হয়েছে?

 

পিকাচু, ঠিক আছে তো?

 

না, সে নেই।

 

চলো, আমাদের আবার শহরে ফিরে যেতে হবে।

 

রাইম শহরের পোকেমন শোভাযাত্রার দশম জন্মবার্ষিকী...

 

...দুপুরে শুরু হতে চলেছে।

 

সারা শহরের লোকজন একত্রে ডাউনটাউনে জড়ো হচ্ছে, উৎসবটাকে উদযাপন করার জন্যে।

 

আমি জানি না যে, তোমাদের দুজনের মাঝে কি হয়েছে, তবে এখন আমাদের কৌশলে কাজটা সারতে হবে।

 

দাঁড়াও, তুমি কোথায় যাচ্ছো?

 

আমাদের জনগণকে জানাতে হবে যে, আমরা কি খুঁজে পেয়েছি! এটা চাঞ্চল্যকর সংবাদ!

 

না, তোমারই সংবাদটা জানানো উচিৎ।

 

আমি হাওয়ার্ডের সাথে কথা বলতে যাচ্ছি।

 

টিম?

 

আমি সংবাদটা কীভাবে জানাবো?

 

যে নিজেই সংবাদমাধ্যমে কাজ করে, সে চাঞ্চল্যকর সংবাদ কীভাবে জানাবে?

 

- গাড়িতেই থেকো, ঠিক আছে?
- সাইডাক।

 

মিসেস এম.সি মাস্টার, এইযে। আমি লুছি স্টিভেন্স,

 

- সি.এন.এম এর অন্তর্ভুক্ত কর্মী।
- তাই নাকি?

 

হ্যাঁ, উম, আমার কাছে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ গল্প (খবর) আছে...

 

আর মানুষের সেটা জানা উচিৎ, আমি ভাবলাম হয়তো আপনি সেটা বলতে সাহায্য করতে পারেন...

 

লুছি, দয়া করে, আমার কফির অর্ডারটা নেও। চিনি একটু বেশী করে দিয়ো।

 

তুমি সেটা পেয়ে যাবে, সিন্থিয়া।

 

খুঁজছি চারিদিকে আর দূরদিগন্তে...

 

....সবকটা পোকেমনেকে বুঝতে,

 

যে শক্তিগুলো তাদের মধ্যে বাকি আছে!

 

ওহে পোকেমন! এক এক করে ধরবো তোমাদের সবাইকে,

 

শুধু থাকবে তোমরা আর আমি।

 

আমি জানি এটাই লেখা ছিলো, আমার কপালে...

 

ওহে পোকেমন!

 

এটা আবার কি?

 

আমি এই জায়গাটাকে চিনি।

 

এটা দুর্ঘটনা ঘটার সেই জায়গাটা।

 

এটা কি?

 

গ্রেনিঞ্জার তারা?

 

রজার নিশ্চই গ্রেনিঞ্জাদের পাঠিয়েছিলো এই দুর্ঘটনাটা ঘটাতে।

 

তার মানে...

 

মিউটু আমাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলো?

 

উন্নত হোলোগ্রাফিক প্রতিচ্ছবি।

 

এটা আমাদের এমনসব জিনিস দেখাতে পারে, যেটা তারাও দেখেনি...

 

-....বা সেসবও দেখায়, যা তারা চায়না যে আমরা দেখি।
- দাঁড়াও...

 

হাওয়ার্ড নিশ্চই আগে থেকে এসব হোলোগ্রামে দেখেছিলো...

 

...ওহ না! না, না, না।

 

টিম!

 

হাওয়ার্ড! জনাব ক্লিফোর্ড।

 

আপনার ছেলে...

 

...মিউটুকে এখানে এনেছে।

 

- দাঁড়ান, এসব কি?
- টিম।

 

সব ঠিক হয়ে যাবে।

 

পালাও!

 

স্থানান্তরণটা কাজ করেছে।

 

আমার দেহটা চেয়ারে আছে,

 

কিন্তু আমার মস্তিষ্কটা মিউটুর মধ্যে আছে।

 

- হাওয়ার্ড, আপনিই?
- ভালো কাজ করেছো, টিম।

 

তুমি আর হ্যারির পিকাচুই আমাকে মিউটুর কাছে নিয়ে গেছো।

 

মিউটু ওই সড়ক দুর্ঘটনাটা ঘটায়নি।

 

তোমার বাবাকে শুধু,

 

কাজ শেষ করে টাকাটা নিয়ে চলে যেতে বলেছিলাম,

 

কিন্তু সে উল্টা প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করলো...

 

- আমার তাকে থামাতেই হতো।
- আপনিই তাকে মারার চেষ্টা করেছেন!

 

আমার হাতে আর কোনো উপায় ছিলো না!

 

সে "আর" এর সন্ধান করতে করতে পোকেমন লড়াই পর্যন্ত পৌছে গিয়েছিলো।

 

সেটার সূত্র ধরেই আবার ডক্টর. লউরেন্টের কাছে পৌছে গিয়েছিলো।

 

আর তারপর সে আর পিকাচু মিলে মিউটুকে পালাতে সাহায্য করলো।

 

তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, আমরা আজকের এই আয়োজনটার জন্যে, অনেক আনন্দিত।

 

কতগুলো পরিবার এসেছে....

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আপনাদের। এতটুকুই বলার ছিলো। ধন্যবাদ।

 

মাফ করবেন, দয়া করে চলুন। হ্যালো।

 

হাই, আমার একটা সাক্ষাৎকার আছে...

 

-... মেয়রের সাথে।
- ভেতরে যান, দয়া করে।

 

জনাব মেয়র, জনাব মেয়র, আমার আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো, দয়া করে আসুন। এটা জরুরি।

 

- সাক্ষাৎকারের জন্যে তুমি কিঞ্চিত দেরি করে ফেলেছো, তাইনা?
- দয়া করে...

 

শোভাযাত্রা শুরু করার পূর্বে,

 

আমি আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজক হাওয়ার্ড ক্লিফোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

 

এটা কখনোই আমার নিরাময়ের ব্যাপার ছিলো না...

 

...আমি আমাদের সবার জন্যেই একটা নতুন উপায় খুঁজে বের করেছি।

 

মিউটুর কাছে সে স্থানান্তরের শক্তি আছে যা...

 

...মানুষের আত্মা আর দেহকে পোকেমনের মধ্যে স্থানান্তর করতে পারে,

 

যতক্ষণ পর্যন্ত পোকেমনরা এই উন্মাদ অবস্থায় থাকবে...

 

সেটা করার জন্যেই "আর" গ্যাস আছে।

 

ওই বেলুনগুলো, "আর" গ্যাস ওগুলোর মধ্যেই আছে।

 

রাইম শহরের নাগরিকগণ,

 

আমি অবশেষে একটা প্রতিকার পেয়েই গেছি,

 

শুধু আমার জন্যেই নয়, পুরো মানবজাতির জন্যে।

 

এতে করে পোকেমনরাও তাদের বিকাশ আরো পূর্ণরূপে করতে পারবে।

 

আর এখন, আপনারাও পারবেন।

 

মানুষ আর পোকেমন...

 

...এখন একত্রে মিলে যাবে।

 

আপনাদের পোকেমনগুলোকে এই বেগুনী ধোঁয়াটা শুঁকতে দিয়েন না।

 

ইয়োসিদা বলছি, আরো লোকবল পাঠানোর অনুরোধ করছি...

 

...সকল কেন্দ্রীভূত বিভাগকে।

 

স্নুব্বুল, না!

 

আপনাদের পোকেমনগুলোকে এই ধোঁয়াটা শুঁকতে দিয়েন না।

 

আপনাদের পোকেমনগুলোকে এই ধোঁয়াটা শুঁকতে দিয়েন না।

 

চলো....

 

আমি সাংবাদিক লুছি স্টিভেন্স বলছি, এখানে শহরে একটা বিশাল দুর্যোগ নেমে এসেছে।

 

আপনাদের পোকেমনগুলোকে শুঁকতে দিয়েন না এই ধোঁয়া...

 

সাইডাক!

 

সাইডাক! সাইডাক!

 

সাইডাক?

 

ঠিক আছে।

 

আমার দেখা সবচেয়ে বাজে শোভাযাত্রা!

 

- সাইডাক!
- লুছি? লুছি কি ওখানে আছে?

 

- টিম, কোথায়?
- সাইডাক, সাই...

 

- হাওয়ার্ডই মিউটু?
- সাইডাক, সাইডাক।

 

সবকিছুই এখন আসলে আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে!

 

ঠিক আছে। আমাকে এটা থামাতে হবে।

 

খেলা শুরু!

 

ঠিক আছে, পিকাচু।

 

তোমার শক্তিগুলো নিজের মধ্যেই কোথাও না কোথাও লুকিয়ে রয়েছে।

 

এখন শুধু একটা ছোট্ট স্ফুলিঙ্গের প্রয়োজন, আসল খেলাটা শুরু করতে।

 

চলো এটা করা যাক!

 

হ্যারি'র পিকাচু।

 

তোমার কি মনে হয় যে, তুমি আগামীর ভবিষ্যতের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে?

 

আমিই হলাম ভবিষৎ!

 

সে ফিরে এসেছে!

 

স্নায়বীয় সংযোগ।

 

রজার?

 

তোমার পিছনে!

 

তুমি তো একটা দিত্তো।

 

দিত্তো!

 

বামে মোড় নেও! ডানে যাও! ডানে!

 

তুমি উড়া কোথায় শিখেছো? মাটির মধ্যে?

 

না, না, না, না, থামো, থামো, থামো।

 

দাঁড়াও, দাঁড়াও!

 

দাঁড়াও, দাঁড়াও!

 

আরে না, না, এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না।

 

ঠিক আছে, তথ্যাগুলো সে এনে দিলেও, আমার কোনো আপত্তি নেই...

 

...যেই মেয়েকে আমি পছন্দ করি, তাঁর মতো দেখতে একটা ক্ষুদ্র-চোখবিশিষ্ট জন্তুকে মারতে।

 

ওহ, ওহ! এখন উপরের দিক উঠো, ধোঁয়াটার ঘ্রাণ নিয়ো না।

 

তুমি ধোঁয়াটার ঘ্রাণ টেনে নিয়েছো, তাইনা?

 

ঠিক আছে৷

 

- তাকে শেষ করে দেও, দিত্তো!
- দিত্তো।

 

না! না, না, না।

 

পিকাচু!

 

টিম...

 

হ্যারির ছেলে এখন মরবে৷

 

না...

 

টিম বলেছিলো, ভোল্ট আক্রমণই আমার সবচেয়ে ভালো কৌশল।

 

চলো, এবার তাহলে পোকেমন লড়াই হয়ে যাক!

 

না!

 

তোমার হাতটা দাও!

 

ওটা আবার কি ধরনের দিত্তো ছিলো?

 

সেটা কৃত্রিমভাবে তৈরিকৃত ছিলো। বাবা ওটা প্রজননশাস্ত্রের গবেষণার মাধ্যমে বানিয়েছিলেন।

 

দিত্তো!

 

দিত্তো...

 

একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা।

 

একটা পিকাচু কখনোই একটা মিউটুকে লড়াইয়ে হারাতে পারবেনা।

 

আমি তো তোমাকে হারাতে চাইনি...

 

....শুধ তোমার মনোযোগটা অন্যদিকে সরাতে চেয়েছিলাম।

 

না!

 

এটা তুমি কি করলে?

 

পিকাচু, না!

 

- পিকাচু!
- টিম!

 

- তুমি ঠিক আছো তো?
- আমি দুঃখিত!

 

আমি দুঃখিত, যখন তোমার আমাকে সবচেয়ে বেশী দরকার ছিলো, তখনই আমি তোমাকে দূরে সরিয়ে দেই।

 

তুমি ফিরে এসেছো, আমি এতেই খুশী।

 

সঙ্গী।

 

দয়া করে, আমাকে বলবে যে, তুমি কি এসব জঞ্জাল ঠিক করতে পারবে কিনা...?

 

যা যা করার দরকার, আমি সবই করবো।

 

আর কখনোই এমনটা করবে না,

 

ঠিক আছে?

 

অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে যে, উনি যে দোষই করে থাকেন না কেন...

 

...সেজন্যে আমি নিজেকেই দায়ী মনে করি, কারণ প্র‍য়োজনের সময় আমিই উনার পাশে ছিলাম না।

 

তুমি! তুমি এই গল্পটার (খবরটার) সন্ধানে ছিলে...

 

...এমনকি অন্য কেউ জানার আগেই এটা খুঁজে বের করেছো।

 

- কথাটা ঠিক।
- বেশ, ঠিক আছে, তো তুমি ক্যামেরার সামনে যাচ্ছো!

 

আমি চাই তুমি আমাকে একটা মূল প্রতিবেদন তৈরি করে দাও, আজ রাতের সি.এন.এম এর মুখ্য সংবাদ হিসেবে।

 

আর এই বিষয়টার উপর বেশী গুরুত্ব দিও যে,

 

"রজার ক্লিফোর্ড তাঁর বাবার সকল কৃত্যকর্মের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন,

 

উনার পোকমনের উপর গবেষণা করার ব্যাপার থেকে শুরু করে"

 

আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা যে, আমরা এটা করতে পেরেছি!

 

- সাইডাক!
- সুন্দর কাজ করেছো!

 

এই, শান্ত হও। শান্ত হও।

 

আমি আশা করি যেনো, আমাদের আর কখনোই দেখা না হয়।

 

- আজ রাতে এরপরে আমার সাথে দেখা করবে?
- দারুণ।

 

মানে, হ্যাঁ করবো!

 

- চলো।
- সাইডাক, সাইডাক, সাইডাক।

 

চলো আমরাও যাই, টিম!

 

শেষ একটা জিনিস বাকি আছে, যেটা আমাকে ঠিক করতে হবে।

 

আমার বাবা!

 

যে বাবাকে তুমি খুঁজছিলো, সে পুরোটা সময় জুড়েই তোমার পাশে ছিলো।

 

সে এসব কি বলছে?

 

আমি জানি না....

 

তুমি পুণ্যের কাজ করেছো।

 

মানবজাতি খারাপ!

 

কিন্তু তোমার আমাকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে যে...

 

... সব মানুষেরাই খারাপ নয়।

 

হ্যারি গুডম্যান,

 

তোমার পিকাচু তাঁর শরীর কুরবান করে দিচ্ছে, তোমার মনকে বাঁচাতে।

 

তাঁর একটা ছেলে আছে।

 

ছেলেটাকে ফিরিয়ে আনলে, আমি তাঁর বাবাকেও ফেরত দিয়ে দিবো।

 

তোমার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাবে, কিন্তু তুমি নিজের পরিচয় ভুলবে না।

 

আমি শরীরটাকে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি, যেনো তুমি জীবিত থাকতে পারো।

 

ছেলেটাকে নিয়ে ফিরে এসো!

 

এই, ছেলে!

 

তুমি সেখানে পৌছালেই, তোমার দাদিমাকে দেখতে পারবে।

 

ঠিক আছে।

 

আবার দেখা হবে।

 

আবার দেখা হবে।

 

এই, বাবা...

 

হ্যাঁ?

 

আপনার কি মনে হয়, আপনার সাথে কিছুদিন থাকতে পারবো?

 

সেটা করলে আমারো ভালো লাগবে, ছেলে।

 

হ্যাঁ, সেটা করলে আমার অনেক ভালো লাগবে।

 

আমারো!

 

- আপনি একটা কফি খাবেন?
- এটা অনেক আজব ব্যাপার,

 

আমি এইমাত্রই একটু কফি খাওয়ার ব্যাপারেই ভাবছিলাম।

 

আমার মনে হচ্ছে, আমাকে একটা নতুন চাকরী খুঁজতে হবে...

 

ওহ, আচ্ছা?

 

তো কি করার ব্যাপারে ভাবছো?

 

- হয়তো একটা গোয়েন্দার কাজ করার চেষ্টা করে দেখতে পারি?
- পিকা-পিকা।

 

মনে হচ্ছে তাঁর (পিকাচুর) এই পরিকল্পনাটা পছন্দ হয়েছে।

 

আমার করা বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে মুভিটি উপভোগ করার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি মুভি এবং সাবের মান ভালো লাগলে অবশ্যই ফিডব্যাক জানিয়ে উৎসাহিত করবেন।❤
[আমার সাবসিন আইডি: :
https://subscene.com/u/1192978
]

 

অনুবাদে ও সম্পাদনায়
সাফিন চৌধুরী
আপকামিং সাবটাইটেল সম্পর্কিত সকল নিত্যনতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে:
https://www.facebook.com/subhunters/